The Taliban: 'মহিলাদের দমিয়ে রাখা' তালিবানের অন্যতম নীতি! জেনে নিন জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থানের ইতিহাস
রবিবার আফগান মসনদে বসে ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করার পর থেকেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তালিবানরা। আমেরিকার সেনা সরানোর কাজ শুরু হলেই আফগানিস্তানের একের পর এক শহর দখলে নামে তালিবান। অবশেষে রবিবার আফগান মসনদে বসে ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তালিবানি ইতিহাস ও তাদের আদর্শ।
তালিবানি ইতিহাস
পাস্তু ভাষায় তালিবানের মানে হল, সেই ছাত্র, যারা কট্টর ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত। ১৯৯৪ নাগাদ দক্ষিণ আফগানের কান্দাহার শহরে জন্ম নেয় এই গোষ্ঠী। সোভিয়েত ইউনিয়ন ক্ষমতা প্রত্যাহার এবং পরবর্তীকালে সরকারের পতনের পর দেশটির নিয়ন্ত্রণের জন্য গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে জনমানসে পরিচিত হয় এই গোষ্ঠী। মূলত এই গোষ্ঠী "মুজাহিদিন" সদস্যদের আকৃষ্ট করেছিল যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ১৯৮০-র দশকে সোভিয়েত বাহিনীকে প্রতিহত করেছিল।
আরও পড়ুন, Afghanistan: 'সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনুশোচনা নেই', কাবুলের ঘাড়ে দায় ঠেলে সাফাই Biden-র
তারপর মাত্র দুই বছরের ব্যবধান, দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের একছত্র নিয়ন্ত্রণ নিল তালিবানরা, ১৯৯৬ ইসলামী আইনের কঠোর ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামী সাম্রাজ্যের ঘোষণা হয়। দেশের অভ্যন্তরে অন্যান্য মুজাহিদিন দলগুলো ক্রমশ পিছু হটে। তালিবানের উপরে দেওবন্দি বিচারধারার প্রভাব ব্যাপক। শুরুর দিকে তালিবানরা ঘোষণা করেছিল, ইসলামি এলাকায় বিদেশি শাসন শেষ করতে হবে। সেখানে শরিয়ত আইন লাগু দরকার। সেটাই তাদের লক্ষ্য। এবং ইসলামিক রাজ্য।
একসময় রাশিয়ার সমর্থনে জহির শাহ আধুনিকতার পথে এগিয়ে চলা আফগানিস্তান ১৯৯০-এর দশকে তালিবানি মধ্যযুগীয় শাসন দেখেছে। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়দার হামলার পর, মার্কিন সমর্থিত ন্যাটো বাহিনী বিমান হামলা করে তালিবান শাসনকে খতম করে। কিন্তু কাবুল, কন্দহরের মতো কয়েকটি বড় শহর ছাড়া আফগানিস্তানকে তালিবান মুক্ত করতে ২০ বছরেও পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র শক্তিরা। তবে দেশের অন্দরেই কোনঠাসা করে।
আরও পড়ুন, Taliban: ১৫ বছরের উপরে, ৪৫-এর নিচে, আফগান মেয়েদের তালিকা চায় তালিবান
তালিবানি আদর্শ
পাঁচ বছরের তালিবান শাসনে শরিয়ত আইনের কঠোর সংস্করণ প্রয়োগ করে তারা। মহিলাদের প্রধানত কাজ করা বা পড়াশোনা করা থেকে বিরত রাখা হয়েছিল এবং পুরুষ অভিভাবক না থাকলে তারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারতেন না। তালিবানি ফতোয়া অনুযায়ী মেয়েদের রাস্তায় বেরোলে তাঁদের পায়ের আওয়াজও অপরিচিত ব্যক্তির কান পর্যন্ত পৌঁছনো যাবে না। তাই হিল জুতো পরাও মানা।১৯৯৬ সালের পর থেকেই মেয়েদের পড়াশোনা করাটাই একটি লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছিল।