হিরো থেকে জিরো হওয়ার রেকর্ড অল্যাদেঁর

আঠেরো মাসের মধ্যেই কি বদলে গেল ছবিটা ? দুহাজার বারো সালে পরিবর্তনের কাণ্ডারি হয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদ । কিন্তু ফ্রান্সে এখন তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে । বেহাল অর্থনীতি থেকে অভিবাসন সমস্যা । সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার তকমা লাগছে ফরাসী প্রেসিডেন্টের গায়ে। কসোভোর এক কিশোরীকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদ ।

Updated By: Oct 25, 2013, 12:27 PM IST

আঠেরো মাসের মধ্যেই কি বদলে গেল ছবিটা ? দুহাজার বারো সালে পরিবর্তনের কাণ্ডারি হয়ে  ক্ষমতায় এসেছিলেন ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদ । কিন্তু ফ্রান্সে এখন তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে । বেহাল অর্থনীতি থেকে অভিবাসন সমস্যা । সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার তকমা লাগছে ফরাসী প্রেসিডেন্টের গায়ে। কসোভোর এক কিশোরীকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদ ।
ফ্রান্সে সোশ্যালিস্ট পার্টির জমানা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি । দু হাজার বারোর মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদ । মাত্র আঠেরো মাসেই কি সেই মধুচন্দ্রিমা শেষ ? সাম্প্রতিক একটি জনমত সমীক্ষা সেরকম ইঙ্গিতই দিচ্ছে । ফরাসী প্রেসিডেন্টের কাজে অসন্তুষ্ট সাতাত্তর শতাংশ নাগরিক । তেইশ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে অল্যাঁদের পিছনে ।
ভাবাই যায় না যে এত তাড়াতাড়ি প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে ফিফথ রিপাব্লিকের মানুষের মোহভঙ্গ হচ্ছে । সেদিক থেকে এটা একটা নতুন রেকর্ড। লিওনার্দা ডিব্রানি নামে এক অভিবাসী কিশোরীকে কসোভোয় ফেরত পাঠিয়েছে ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদের সরকার । তার পরিবার ফ্রান্সে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছিল । ওই কিশোরীকে বিতাড়নের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রসমাজ । প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আন্দোলন । চাপে পড়ে লিওনার্দা ডিব্রানিকে প্যারিসে ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছেন অল্যাঁদ । কিন্তু তাকে একা ফ্রান্সে পাঠাতে রাজি নয় লিওনার্দার পরিবার ।
আমাদের সমীক্ষা অক্টোবর মাসে করা হয়েছে । লিওনার্দা-কাণ্ডের স্মৃতি এখনও জনমানসে টাটকা । ফলাফলে তার প্রতিফলন ঘটেছে । মানুষ মনে করছেন সরকার ঠিক কাজ করেনি। নির্বাচনী ইশতেহারে ফ্রান্সের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদ। অথচ এখনই দেশে বেকারত্বের হার গত পনেরো বছরের তুলনায় সর্বাধিক। আর্থিক মন্দার আশঙ্কা ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে। নিজের দলেও কোনঠাসা ফরাসী প্রেসিডেন্ট। সোশ্যালিস্ট পার্টির ৬৫ শতাংশ সদস্য ফ্রাসোঁয়া অল্যাঁদের কাজে বিরক্ত। আর ৬ মাস বাদেই ফ্রান্সে স্থানীয় নির্বাচন। তাঁর জয় যে ফ্লুক নয়, তা এবার প্রমাণ করতে হবে ফরাসী প্রেসিডেন্টকে। না হলে ফের পরিবর্তনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে জনতা জনার্দন।

.