হ্যাপি বার্থ ডে মিকি...
বয়স পাক্কা ৮৫। কিন্তু তার তারুণ্যে একটুও চালসে পড়েনি। চুলে উঁকি মারেনি একচিলতে রুপোলী আভা। ক্যারিশ্মায় এখনও গুণে গুণে ১০ গোল দিতে পারে যে কোনও ২৫-এর টাটকা যুবককে। তার জনপ্রিয়তা সঙ্গে শুধু মহাকাশের তুলনা চলে। তিনি আর কেউ নন, একম অদ্বিতীয়ম মিকি মাউস। ওয়াল্ট ডিজনি নামক এক রূপকথার জাদুকরের তুলির ছোঁয়ায় আজ থেকে পঁচাশি বছর আগে যার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পৃথিবীর, আজ তার জন্মদিন।
বয়স পাক্কা ৮৫। কিন্তু তার তারুণ্যে একটুও চালসে পড়েনি। চুলে উঁকি মারেনি একচিলতে রুপোলী আভা। ক্যারিশ্মায় এখনও গুণে গুণে ১০ গোল দিতে পারে যে কোনও ২৫-এর টাটকা যুবককে। তার জনপ্রিয়তা সঙ্গে শুধু মহাকাশের তুলনা চলে। তিনি আর কেউ নন, একম অদ্বিতীয়ম মিকি মাউস। ওয়াল্ট ডিজনি নামক এক রূপকথার জাদুকরের তুলির ছোঁয়ায় আজ থেকে পঁচাশি বছর আগে যার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পৃথিবীর, আজ তার জন্মদিন।
১৯২৮-এর ১৮ নভেম্বর। ``স্টেমবোট উইলি`` নামের একটা ছোট্ট কার্টুন স্ট্রিপ বদলে দিল বিশ্বে অ্যানিমেশন ছবির মানে। আত্মপ্রকাশ ঘটল মিকি মাউসের। ১৯১৪তে ``গার্টি দ্য ডাইনোসর`` প্রথম সফল অ্যানিমেশন হলেও অ্যানিমেশনকে পৃথিবীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে ওই লাল প্যান্ট পরা ছটফটে কালো ইঁদুর। প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত আট প্রজন্ম মিকি প্রেমে আচ্ছন্ন।
ছোট্টবেলায় জীবনের অনেক নতুন কিছু চেনার মধ্যে সবারই কেমন যেন স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধুত্ব হয়ে যায় মিকির সঙ্গে। তারপর কৈশর, তারুণ্য পেড়িয়ে বার্দ্ধক্যে সেই সম্পর্ক আরও গভীর হয়। ছোটবেলার সুখের গণ্ডি টপকে জটিল বড়বেলা যখন জীবনকে ঘিরে ধরে তখনও অনেক চাপা মন খারাপ তুড়িতে উড়িয়ে দিতে প্রিয় বন্ধু মিকির তুলনা নেই। তার হাত ধরেইতো মিনি, ডোনাল্ড, ডেইজি, প্লুটো, গুফি সহ আরও অনেক অনেক বন্ধু জুড়ে গেছে আমাদের জীবনের সঙ্গে। নিজের সব বন্ধুকেই সে ভাগ করে নিয়েছে সবার সঙ্গে। মিকি তো সেই কবে থেকে আমাদের কত কত টুকরো খুশির মুহূর্ত দিয়েছে। মন খারাপের বিকেল বেলার গোমড়া মুখ কয়েক মিনিটেই বদলে গেছে তার খুশিয়াল মেজাজের আদরে।
না, কিংবন্তীর মত কঠিন শব্দ দিয়ে দূরের গ্রহের বাসিন্দা করা যায় না বন্ধু মিকিকে। সে তো খুব কাছের একজন, পাশের একজন। আজ তার জন্মদিনে শুধু এটুকুই বলার `ভাল থেক, ভাল রেখ মিকি, আরও আরও অনেক ৮৫ বছর এই ভাবে স্বপ্নে ভাসিও তোমার অনাবিল বন্ধুতা।`