গ্রিসের রায় বেল-আউটের পক্ষে
গ্রিসের নির্বাচনে গণনা শেষ। এবারও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না কোনও দল। প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী নিউ ডেমোক্রেসি। বেল-আউট প্যাকেজের পক্ষে সরব তাঁরা। জেতার পর নিউ ডেমোক্রসি পার্টির নেতা অ্যান্তনি সামারা বলেন, "এই জয় সমগ্র ইউরোপের জয়। গ্রিসের মানুষ ইউরোজোনে থাকতে চায়।"
গ্রিসের নির্বাচনে গণনা শেষ। এবারও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না কোনও দল। প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী নিউ ডেমোক্রেসি। বেল-আউট প্যাকেজের পক্ষে সরব তাঁরা। জেতার পর নিউ ডেমোক্রসি পার্টির নেতা অ্যান্তনি সামারা বলেন, "এই জয় সমগ্র ইউরোপের জয়। গ্রিসের মানুষ ইউরোজোনে থাকতে চায়।"
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামপন্থী দল সাইরিজা। নিউ ডেমোক্রেসির সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শী এই দল প্রথম থেকে বেল আউট প্যাকেজের শর্তগুলির তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। ২৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে সাইরিজা দল। ১২ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়েছে বর্তমান শাসক দল পাসোক পার্টি । বেল আউটের শর্ত না মানলে, গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে শিল্পোন্নত দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতে কোন দল গ্রিসের শাসন ক্ষমতায় আসে তার ওপর ইউরোজোনের ভবিষ্যতও অনেকটাই নির্ভর করছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
তীব্র আর্থিক সঙ্কট থেকে গ্রিসকে টেনে বের করতে ২০১০ সালে ১১০ বিলিয়ন ইউরোর বেল আউট প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তাতেও আর্থিক সঙ্কট কাটেনি। ফলে ২০১১ সালে ১৩০ বিলিয়ন ইউরো অর্থমূল্যের আরেকটি বেল আউট প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, প্যাকেজের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু শর্ত। শর্ত হল, অনুদান পেতে হলে উন্নয়নমুখী বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ কঠোরভাবে কাটছাঁট করতে হবে গ্রিসের সরকারকে। জনতার কাছে ব্যয়সঙ্কোচের এই আবেদন নিয়েই ভোটে গিয়েছিল সমাজতন্ত্রী শাসক দল পাসোক। গত ৬ মে`র নির্বাচনে পরাস্ত হয় তারা। কিন্তু কোনও দলই সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। প্রধান বিরোধী দল নিউ ডেমোক্রেসি পায় ২০ শতাংশের কম ভোট। অন্যদিকে, বেল আউট প্যাকেজের শর্তগুলির তীব্র বিরোধিতা করে শক্তি বাড়ায় বামপন্থী দল সাইরিজা। তবে তাদেরও ভোট ছিল ১৭ শতাংশের কম। কোনও রাজনৈতিক দলই সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।