কিম জং ইলের অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন

উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত রাষ্ট্রনেতা কিম জং ইলের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হল আজ। বুধবার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রধানের দু`দিন ব্যাপী এই অন্ত্যেষ্টির সূচনা হয় বিশাল শোকযাত্রার মাধ্যমে।

Updated By: Dec 29, 2011, 05:57 PM IST

উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত রাষ্ট্রনেতা কিম জং ইলের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হল আজ। বুধবার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রধানের দু`দিন ব্যাপী এই অন্ত্যেষ্টির সূচনা হয় বিশাল শোকযাত্রার মাধ্যমে।
বরফে ঢেকে গেছে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং। কিন্তু প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেও রাজপথের দুপাশে ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। প্রিয় কমিউনিস্ট নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। প্রায় দশ হাজার সেনা জওয়ান প্রথমদিনের শোকযাত্রায় অংশ নেন। আর বাবার কফিনের পাশে পাশে সারাক্ষণ ছিলেন কিম জং ইলের সেজ ছেলে কিম জং উন। উনকেই উত্তরসুরী স্থির করে গেছেন কিম জং ইল। ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিম জং ইল। গত ৯ দিন তাঁর মরদেহ শায়িত ছিল বিশেষ ভবনে। কিম জং ইলের শেষকৃত্যে কোনও বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। 

১৯৯৪ সালে নিজের বাবা, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির কিংবদন্তী সর্বাধিনায়ক `কিম টু সাং`-এর মৃত্যুর পর রাষ্ট্র ও দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে আসীন হন কিম জং ইল। দলের অন্দরমহলে `কিম জং টু` হিসেবে সমধিক খ্যাত ছিলেন তিনি। বাবার মতোই উত্তর কোরিয়ার জনগণকে `পশ্চিমি ভোগবাদী সংস্কৃতি`র আঁচ থেকে আড়ালে রাখতে বরাবরই সচেষ্ট ছিলেন তিনি। এমনকী দক্ষিণ কোরিয়ার পুনঃপুনঃ আবেদন সত্বেও `থার্টি এইট প্যারালাল`-এর ওপারে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তীব্র অনীহা ছিল কিমের।
এই প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রেণর প্রভাব পড়েছিল পিয়ং ইয়ং-এর কূটনীতিতেও। বন্ধুরাষ্ট্র চিন বাজার অর্থনীতিতে গা ভাসালেও সেই পথ গ্রহণ করেননি কিম। ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ও মার্কিন মিডিয়ার নিরন্তর নেতিবাচক প্রচারের কারণে এই একুশ শতকেও তিনি পরিণত হয়েছিলেন এক ‘রহস্যময়’ রাষ্ট্রনায়কে। তবে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমী দেশগুলোর দৃষ্টিতে একজন `স্বৈরশাসক` হিসেবে পরিচিতি পেলেও দেশবাসীর কাছে আমৃত্যু বিপুল জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছিলেন কিম। শেষ বিচারে সেটাই ছিল তাঁর ক্ষমতায় টিকে থাকার রহস্য।

.