আগামী ২৫ বছরে বর্ধিত জনসংখ্যার নিরিখে এশিয়ার কৃষকদের শস্য উত্‍পাদন বাড়াতে হবে ৫০-৭০ শতাংশ!

পেস্টিসাইড ব্যবহার না করলে বিশ্বের ৭০ শতাংশ খাদ্যশস্যই নষ্ট হত! পেস্টিসাইড ব্যবহার করেও ইদানীং পতঙ্গ বা ছত্রাকের জন্যে উত্‍পাদিত খাদ্যশস্যের ৪২ শতাংশই নষ্ট হয়!

Updated By: Jun 8, 2021, 04:05 PM IST
আগামী ২৫ বছরে বর্ধিত জনসংখ্যার নিরিখে এশিয়ার কৃষকদের শস্য উত্‍পাদন বাড়াতে হবে ৫০-৭০ শতাংশ!

নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষিকাজকে মানবসভ্যতার অগ্রগতির এবং চাহিদার সঙ্গে পা মিলিয়েই এগিয়ে চলতে হয়। কৃষি আবার  আমাদের বেঁচে থাকার ধরনকে বদলেও দেয়। বদলে দিয়েছেও। কিন্তু আগামী মানবসভ্যতার দিকে তাকালে বলতেই হবে, কৃষিতে আরও পরিবর্তন জরুরি। এবং মনে রাখা জরুরি, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য মাত্র কয়েকটি শস্যই এখনও আমাদের হাতে অবশিষ্ট আছে। 

এখানে চলতি Market Sources থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষি-সংক্রান্ত কিছু জরুরি বিষয় আলোচনা করা যাক। যার ভিত্তিতে আগামী দিনের কৃষিতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের বিষয়টা আঁচ করা যাবে।  

আরও পড়ুন: তুষার-উত্‍সারিত আলোয় মুছল নয়ন-অন্ধকার! এশিয়ায় প্রথম দৃষ্টিহীন এভারেস্টে

তথ্য বলছে,  বিশেষ ২৪টি গার্হস্থ্য শস্যের প্রজাতির (domesticated crop species) উপরই আমাদের প্রায় ৯৯ শতাংশ  কৃষি-পণ্য (agricultural production) নির্ভরশীল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১০টি গার্হস্থ্য শস্য হল ভুট্টা, গম, ধান, আলু, সুগার বিট, রাঙালু, সয়াবিন, যব, টম্যাটো এবং সাগু। 

আগামী ২৫ বছর এশিয়াবাসীকে (Asia) খাওয়াতে গেলে চাই বিপুল পরিমাণ ভূমি ও খাদ্য। ক্রবর্ধমান জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ নিতে গেলে এশিয়ার কৃষকেরা এখন যে-পরিমাণ শস্য উত্‍পাদন (Agriculture) করেন, আগামিদিনে তা অন্ততপক্ষে ৫০-৭০ শতাংশ বাড়াতে হবে তাঁদের।

আসলে শস্যক্ষেত্র (Cropland) জনসংখ্যার (population) মধ্যে মোটেই পারস্পরিক সাযুজ্য নেই। এটা বিশেষ করে ঘটেছে চিনে। চিনে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২০-২৫ শতাংশের বাস, এদিকে বিশ্বের মোট চাষযোগ্য ভূমির মাত্রই ৭ শতাংশ তাদের হেফাজতে।  

শুনতে আশ্চর্য লাগবে, কিন্তু ঘটনা হল, আগামী ৪০ বছর ধরে নিজেদের পেট ভরাতে এই মানবজাতিকে (mankind) যে পরিমাণ খাদ্য উত্‍পাদন করতে হবে তা, একেবারে সভ্যতার প্রারম্ভ থেকে যত পরিমাণ খাদ্য মানুষ উত্‍পাদন করেছে তার চেয়েও বেশি!  

পেস্টিসাইড (pesticides) ব্যবহার না করলে বিশ্বের ৭০ শতাংশ খাদ্যশস্যই নষ্ট হত! পেস্টিসাইড ব্যবহার করেও ইদানীং কীটপতঙ্গ বা ছত্রাকের আক্রমণের জেরে উত্‍পাদিত খাদ্যশস্যের ৪২ শতাংশ নষ্ট হয়! কৃষিতে সার ব্যবহার করে স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় থেকে দু'গুণ উত্‍পাদন বাড়ানো যায়। কীটনাশক ব্যবহার না করে নিজেদের চাষের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে গেলে কৃষকদের আরও অন্তত ৪০০-৬০০ মিলিয়ন হেক্টর (৯৮৮-১,৪৮২ মিলিয়ন একর) কৃষিজমির প্রয়োজন পড়ত।

তার চেয়েও বড় কথা, কীটনাশক-প্রযুক্তি (fertiliser technology)বাদ দিলে ঠিক এখন যে-পরিমাণ খাদ্য কৃষকেরা উত্‍পাদন করেন সেটুকুই করতে গেলে তাঁদের আরও অন্তত ২০০০ মিলিয়ন হেক্টর  (৪,৯৪২ মিলিয়ন একর) জমিতে চাষকাজ করতে নেমে পড়তে হত।  

প্রসঙ্গত, এই লেখায় ব্যবহৃত সমস্ত তথ্য-পরিসংখ্যানের উত্‍স সংশ্লিষ্ট মার্কেট সোর্স (market sources)। 

(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

আরও পড়ুন: Wagah border-র ওপারে সম্প্রীতির সুর: পাক টেলিসিরিজে রবীন্দ্রগান!

.