ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স, মৃত অন্তত ৭৩
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২দ। ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধস্ত সেবু, বোহল, মানদেয়ু সহ ফিলিপিন্সের একাধিক শহর। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বহুতল। খালি করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২দ। ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধস্ত সেবু, বোহল, মানদেয়ু সহ ফিলিপিন্সের একাধিক শহর। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বহুতল। খালি করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫। সবেমাত্র ঘুম ভেঙেছে ফিলিপিন্সের। প্রতিদিনের ব্যস্ততার সবে শুরু। মুহুর্তে বদলে গেল ছবিটা। জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বোহোল, সেবু, মানদেয়ু সহ ফিলিপিন্সের একাধিক শহর। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল সাত দশমিক দুই। ভূমিকম্পের উত্স ছিল বোহল দ্বীপের কারমেন শহর। তীব্র কম্পনের জেরে অত্যন্ত ঘনবসতি শহরে মুহুর্তের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়।
বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন অসংখ্য মানুষ। ভেঙে পড়ে অসংখ্য বহুতল। সেবুর মানদেয়ুতে একটি বাজারের সিলিং ভেঙে আহত হন ১৯জন।সেবুতে মৃত্যু হয় পনেরোজনের। বাড়ি ভেঙে আহত হন বেশ কয়েকজন। কম্পনের জেরে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ পশ্চিম কারমেনের শতাব্দী প্রাচীন গির্জার চূড়া। তবে, সরকারি ছুটি থাকায় বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ, ও অফিস। ফলে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কম হবে বলে আশাবাদী বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
কম্পনের পরও আফটার শকের জেরে বেশ কয়েকবার কেঁপে ওঠে ফিলিপিন্সের বিভিন্ন এলাকা। তবে, এবার কোনওরকম সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। গতবছরও ফিলিপিন্সে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল ১০০জনের।