তিন দশক পর বুমেরাং হয়ে ফিরল ভ্রূণের অভিশাপ, একসন্তান নীতি থেকে সরতে পারে চিন
সময়ের দাবি মেনে একসন্তান নীতি থেকে সরে আসতে পারে চিন। সে দেশের ন্যাশনাল হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং কমিশন সূত্রে এমনই খবর।
গণপ্রজাতান্ত্রিক চিন। শক্তিশালী দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতি। শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। এমন সর্বশক্তিমান দেশেও প্রশাসন উদ্বিগ্ন ভবিষ্যতের আশঙ্কায়। তাঁদের ভাবাচ্ছে পঁয়ত্রিশ বছরের পুরনো এক সিদ্ধান্ত। এক সন্তান নীতি? কী সেই নীতি? 'জনসংখ্যার বিস্ফোরণ' ঠেকাতে চিনে ৮০-র দশকে কার্যকর হয় 'এক সন্তান' আইন এই আইন প্রয়োগে 'জোর করে' বহু দম্পতির 'দ্বিতীয় সন্তান' গ্রহণ রোখা হয়।
অসমর্থিত সূত্রে রিপোর্ট: এই সময় প্রায় ২৫ কোটি মহিলার গর্ভপাত করানো হয়েছিল। তবে সকলের জন্য এই আইন প্রযোজ্য ছিল না। সংখ্যালঘু জাতি-উপজাতির ক্ষেত্রে একসন্তান আইন কার্যকর নয়।
মা ও বাবা দুজনেই একমাত্র সন্তান হলে, তাঁরাও দ্বিতীয় সন্তান নিতে পারেন। আটের দশকে চিন ছেয়ে গিয়েছিল এমন পোস্টারে। আইনের স্বতঃস্ফূর্ত এবং বলপূর্বক প্রয়োগে ঠেকানো গিয়েছিল জনসংখ্যার বিস্ফোরণ। উন্নতির সোপান বেয়ে তরতর করে উঠে যায় চিন। কিন্তু, এখন ফের মোচড় দিচ্ছে ভবিতব্য।
ভ্রুণের অভিশাপ!
---------
৩ দশক পর বুমেরাং হয়ে ফিরেছে 'এক সন্তান' নীতি
চিনের জনসংখ্যার প্রায় ৬০%-ই এখন প্রৌঢ় অথবা বৃদ্ধ
প্রতি বছর দ্রুত কমছে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা
ভুল শুধরোতে ফের আইন সংশোধনের কথা ভাবছে প্রশাসন
ভুল সংশোধন?
----------
'এক সন্তান' আইন শিথিল করার কথা ভাবছে চিন
১৩ তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেই শিথিল হতে পারে আইন
অর্থাত্, সংশোধিত আইনে ফের একের বেশি সন্তানের জন্ম দিতে পারবে কোনও দম্পতি। কিন্তু, ইতিহাসের চাকা কি ঘুরবে পিছনে? রাতারাতি আইন সংশোধনেই কি পূরণ হবে কর্মক্ষম মানুষের ঘাটতি? প্রশ্ন রয়ে গেল।