Naval Exercises: আরব সাগরে মুখোমুখি রাশিয়া-চিন-ইরানের নৌসেনারা! সংকটের কালো মেঘ?
Joint Naval Exercises in the Gulf: যুদ্ধের সংকটের উত্তেজনার মেঘ কি আর সরবে না পৃথিবী থেকে? কেন এই প্রশ্ন উঠছে? কারণ, সম্প্রতি সাগরে মুখোমুখি নৌসেনারা। না, কোনও সংকটের সংকেত নেই। শুরু হয়েছে এক নৌ-মহড়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এই উত্তেজনার মধ্যেই আরব সাগরে ত্রিদেশীয় নৌ-মহড়া শুরু। নৌ-মহড়ায় শামিল রাশিয়া, চিন ও ইরান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যুদ্ধের সংকটের উত্তেজনার মেঘ কি আর সরবে না পৃথিবী থেকে? কেন এই প্রশ্ন উঠছে? কারণ, সম্প্রতি সাগরে মুখোমুখি নৌসেনারা। না, কোনও সংকটের সংকেত নেই। শুরু হয়েছে এক নৌ-মহড়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এই উত্তেজনার মধ্যেই আরব সাগরে ত্রিদেশীয় নৌ-মহড়া শুরু। নৌ-মহড়ায় শামিল রাশিয়া, চিন ও ইরান। বৃহস্পতিবার থেকে এই নৌ-মহড়া শুরু। চলবে ১৯ মার্চ পর্যন্ত। বুধবার এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রিদেশীয় এ নৌ-মহড়ার নাম রাখা হয়েছে 'মেরিন সিকিউরিটি বেল্ট ২০২৩'। ইরানের বন্দর থেকে মহড়ার সূচনা। পাঁচ দিন ধরে আরব সাগরে মহড়া চালাবেন তিন দেশের নৌ-সেনারা। তিন দেশের এই নৌ-মহড়ায় রুশ নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল গ্রোশকভ ফিগ্রেট ও মাঝারি আকারের ট্যাংকার অংশ নিচ্ছে। এই সব ইউনিটগুলি আর্টিলারি ফায়ারিং বা গোলা নিক্ষেপ অনুশীলন করবে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিলেন রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। এই যুদ্ধে এই সব দেশ ইউক্রেনকে অর্থ-অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপ করেছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন: Earthquake in New Zealand: তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মাটি, জারি সুনামি-সতর্কতা?
ইউক্রেন-যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে রয়েছে ইরান। এদিকে রাশিয়াকে ড্রোন-সহ নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে তেহরান। চিন প্রকাশ্যে কোনও পক্ষকে সমর্থন না করলেও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেই চলেছে, ফলে তার লক্ষ্য বোঝাই যাচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে ইরান ও চিনের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছের কথা বিভিন্ন সময়েই জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হয়তো সেই ইচ্ছে বা সেই পরিকল্পনার পথ ধরেই আরব সাগরে এবার এই নৌবাহিনী মহড়ায় অংশ নিল রাশিয়া। খুব শীঘ্রই রাশিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের। নিশ্চয়ই এই মহড়া বা তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্তরে আলোচনা হবে।