তাড়িয়ে দিয়েছেন থাই স্ত্রী, তাই ফুটপাথেই দিন গুজরান স্বামীদের

থাইল্যান্ডের রাস্তায় ভিনদেশী ঘরছাড়াদের ভিড়। কারও দিন কাটে বন্ধুদের সাহায্যে তো কেউ দিন গুজরানের জন্য বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। তবে বাড়ি থেকে রাজপথে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের দাবি, তাঁরা ভালই আছেন। এঁরা সকলেই ভিনদেশী। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে আজ তাঁরা পাটায়ার ফুটপাথবাসী। আর সেই বিধির অদৃশ্য লিখনটাকে অনেকে মেনেও নিয়েছেন। কারণ তাঁদের কাছে অন্য কোনও পথ নেই। থাইল্যান্ডের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সাল থেকে সেদেশে ঘরছাড়া পশ্চিমি নাগরিকদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে সংখ্যাটা ২০০ ছাড়িয়েছে।

Updated By: Sep 20, 2013, 04:54 PM IST

থাইল্যান্ডের রাস্তায় ভিনদেশী ঘরছাড়াদের ভিড়। কারও দিন কাটে বন্ধুদের সাহায্যে তো কেউ দিন গুজরানের জন্য বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। তবে বাড়ি থেকে রাজপথে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের দাবি, তাঁরা ভালই আছেন। এঁরা সকলেই ভিনদেশী। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে আজ তাঁরা পাটায়ার ফুটপাথবাসী। আর সেই বিধির অদৃশ্য লিখনটাকে অনেকে মেনেও নিয়েছেন। কারণ তাঁদের কাছে অন্য কোনও পথ নেই। থাইল্যান্ডের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সাল থেকে সেদেশে ঘরছাড়া পশ্চিমি নাগরিকদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে সংখ্যাটা ২০০ ছাড়িয়েছে।
কিন্তু কেন এমনটা ঘটছে? তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওই সংস্থার দাবি, একটা সময় থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে বহু পশ্চিমি পুরুষ সেদেশের মেয়েদের বিয়ে করেছিলেন। যেহেতু প্রবাসীদের নামে সেদেশে সম্পত্তি কেনা বেআইনি, তাই তাঁরা পত্নীর নামে সম্পত্তি কিনেছিলেন থাইল্যান্ডে। পরবর্তীকালে সেই পত্নীরাই তাঁদের পশ্চিমি স্বামীদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায়, তাঁদের অনেকেই এখন সহায় সম্বল হারিয়ে একেবারে নিঃসঙ্গ। আইনি লড়াইয়ের সুযোগ না থাকায় বাসস্থান হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন ব্যাঙ্কক কিংবা পাটায়ার রাজপথ। এইরকমই ভিনদেশী ঘরছাড়াদের দেখভালের জন্য রয়েছে কয়েকটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের কাজ হল থাইল্যান্ডের ঘরছাড়াদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। তাঁদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা। তবে ফুটপাটবাসীদের অনেকেই চান দেশে ফিরে যেতে। যেমনটা ব্রিটেনের নাগরিক বছর উনষাটের স্টিফেন ফ্রানসিস কুইন।
ভিসার মেয়াদ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও থাইল্যান্ডে কোনও বিদেশীকে থাকতে হলে ফি বাবদ দিতে হবে দৈনিক ১৬ ডলার। যার সর্বোচ্চ ৩৩৬ ডলার। কিন্তু কোনও সেচ্ছাসেবী সংগঠন এই টাকা দিতে পারবে না। একমাত্র অসুস্থ হলে তবেই থাইল্যান্ডে কোনও ভিনদেশী পর্যটককে সর্বাধিক ১৫ দিন আশ্রয় দিতে পারবে কোনও সেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাই অনেকেরই দিন কাটে ভিক্ষাবৃত্তি করে। যেমনটা মার্কিন নাগরিক সিলভেস্টার অ্যানক্র্যামের। ভাই থাকেন নিউইয়র্কে। কিন্তু পাটায়ার রাজপথে থাকতে থাকতে এই জীবনটাকেই ভালোবেসে ফেলেছেন উত্তর ক্যারোলিনার এই বাসিন্দা। অ্যানক্র্যামও থাইল্যান্ডে এসে সেদেশের মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। পরে সেই মহিলাই তেষট্টি বছরের মার্কিন নাগরিককে ঘর থেকে বের করে দেন। অনেকটা একই কাহিনী ডাচ নাগরিক থিউনিস জাল্টে ডি ইয়ংয়ের।
 
থাইল্যান্ডের পর্যটন ও ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, ২০১২ সালে সেদেশে প্রায় দু`কোটি পর্যটক এসেছিলেন। যাঁদের অনেকেই এদেশে পাকাপাকি ভাবে থেকে গিয়েছেন। কারণ এদেশের পরিবেশ এবং জীবনধারণের কম খরচ।
 

.