তেজষ্ক্রিয় বিকীরণ কর্মীদের রক্ষা করতে পোশাক আনছে ফুকুশিমা ডাইচি

পরমাণু চুল্লিতে তেজষ্ক্রিয় বিকীরণের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভরসা বিশেষ পোশাক। এবার সেই পোশাকই আসছে আরও উন্নতমানের। ফুকুশিমা ডাইচির কর্মীদের কথা ভেবে তৈরি এই বিশেষ পোশাক পরে পরমাণু চুল্লির ভিতর কাজ করলেও আর গরম লাগবে না। ডিসেম্বরেই সম্ভবত বাজারে মিলবে এই পোশাক। ফুকুশিমা ডাইচি ঘুরে দেখলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

Updated By: Sep 20, 2013, 03:32 PM IST

পরমাণু চুল্লিতে তেজষ্ক্রিয় বিকীরণের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভরসা বিশেষ পোশাক। এবার সেই পোশাকই আসছে আরও উন্নতমানের। ফুকুশিমা ডাইচির কর্মীদের কথা ভেবে তৈরি এই বিশেষ পোশাক পরে পরমাণু চুল্লির ভিতর কাজ করলেও আর গরম লাগবে না। ডিসেম্বরেই সম্ভবত বাজারে মিলবে এই পোশাক। ফুকুশিমা ডাইচি ঘুরে দেখলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
সুনামির ক্ষত এখনও বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফুকুশিমা ডাইচি। এখনও কি তেজস্ক্রিয় ছড়িয়ে চলেছে জাপানের এই পরমাণু চুল্লি? সম্ভবত সেই উত্তরটা খুজতেই বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। ঘুরে দেখলেন প্রায় গোটা প্লান্টটাই। আর তারপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, যে দুটি চুল্লি নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে, সেগুলি নতুন করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অথচ, গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতায় এসেই তিনি জানিয়েছিলেন, ফুকুশিমা সঙ্কট নাকি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে তাঁর সরকার। কিন্তু, আদতে যে তিনি শুধুমাত্র ফাটলে পলেস্তারা লাগিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবারের উদ্বেগেই তা কার্যত স্পষ্ট।
এসবের মধ্যেই অবশ্য ফুকুশিমা ডাইচির কর্মীদের জন্য এসে পৌঁছেছে একটা সুখবর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে তাদের পোশাক। কী রয়েছে সেই পোশাকে? আপাদমস্তক এই পোশাকে নাকি বাজারচলতি তেজষ্ক্রিয় নিরোধক পোশাকের থেকে কুড়ি গুণ বেশি হাওয়া চলাচল করবে। ফলে, পরমাণু চুল্লির ভিতরের অসহ্য গরমও আর তেমনভাবে কাবু করতে পারবে না ফুকুশিমার কর্মীদের। এখনও পুরোপুরিভাবে বাজারে আসেনি। কিন্তু, ট্রায়াল দিয়েই তো কর্মীরা বলতে শুরু করে দিয়েছেন এতো হালকা পোশাক আগে কোনওদিনও পাননি তারা। এখানেই শেষ না, এই পোশাক নির্দিষ্ট সময় পরে নিজে থেকেই বিনষ্ট হয়ে যাবে। ফলে, তেজষ্ক্রিয় বিকীরণের মাত্রাও অনেকটাই কমবে। আগামী ডিসেম্বর থেকেই বাজারে আসবে এই পোশাক। দামও ধার্য হয়েছে দশ মার্কিন ডলার। সবমিলিয়ে খুব শিগগিরিই নতুন পোশাক পেতে চলেছেন ফুকুশিমা ডাইচির প্রায় তিন হাজার কর্মী।

.