বাংলাদেশের ভোটে ভোটার কম, বুথের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ- চলল গুলি, মৃত ১২

অশান্তির আবহে চলছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। আজ রবিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল চারটে পর্যন্ত। সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৫৯ জেলার ১৪৭টি আসনে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।

Updated By: Jan 5, 2014, 05:30 PM IST

অশান্তির আবহে চলছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। আজ রবিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল চারটে পর্যন্ত। সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৫৯ জেলার ১৪৭টি আসনে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।

ভোটকেন্দ্রে হামলা ও সংঘর্ষে আট জেলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আর ভোট শুরুর আগে ভোরে সংঘর্ঘ ও আগের দিন আহত ও দগ্ধ আরো ৪জনের মৃত্যু হয়েছে এদিন। সবচেয়ে বেশি হিংসার খবর মিলেছে রংপুর, গাজিপুর, নীলফামারি ও উত্তর পশ্চিম দিনাজপুরে। ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া বা পুড়িয়ে দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিরোধীদলের হামলায় এক অ্যাসিস্টেন্ট প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যু হয়।

ভোটের আগের রাতে ও ভোটের সময় নাশকতার কারণে বিভিন্ন জেলার দেড় শতাধিক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।

বিএনপির ‘নিখোঁজ’ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে রামধানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সারাদিনে একটি ভোটও পড়েনি।

সারা দেশেই বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুব কম। ঢাকা-৭ আসনের এস কে এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশের সামনেই সাতটি ককটেল ফাটানো হয়। ঢাকা-১৮ আসনে সকালে আব্দুল্লাপুরে মালেকাবানু উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে ২০-২৫টি ককটেল বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের শতাধিক গুলি ছোঁড়ে।
মিরপুরে ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়।

এক নজরে বাংলাদেশ নির্বাচন---

মোট আসন- ৩০০, ভোট হল ১৪৭ আসনে (১৫৩ আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত)

ভোটার সংখ্যা- ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭। নারী ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪১ হাজার ৯০৫; পুরুষ ৪ কোটি ৬১ লাখ ২৪ হাজার ৭২।

১৪৭ আসনে মোট ভোটার ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৭২৪। পুরুষ ২ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার ৮২৬; নারী ২ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার ৯২৮।

মোট ভোটকেন্দ্র - ৩৭ হাজার ৭০৭, ভোটকক্ষ- ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮।

১৪৭ আসনে ভোটকেন্দ্র- ১৮ হাজার ২০৮, ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ২১৩।

৩০০ আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তা-৬৬ জন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ৫৭৭ জন। ১৪৭ আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তা- ৬১ জন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ২৮৭ জন।

যেসব জেলায় ভোট হল না- চাঁদপুর, রাজবাড়ী, জয়পুরহাট, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর।

অংশ নেয়া দলের সংখ্যা- ১২। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ১৫৩ জনসহ) ৫৪৩, এরমধ্যে পুরুষ ৫১৬, নারী ২৭, স্বতন্ত্র ১০৪। ১৪৭ আসনে প্রার্থী ৩৯০ জন।

১৪৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১২০ জন, স্বতন্ত্র ১০৪ জন, জাতীয় পার্টির ৬৬ জন, জেপির ২৭ জন, বিএনএফের ২২ জন, জাসদের ২১ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬ জন।

আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ১৫৩ জন প্রার্থী। ফলে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন না প্রায় ৫ কোটি ভোটার। বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে যা নজিরবিহীন। গতকালও ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। চলছে তাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বনধও। ১৮ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। হিংসার আশঙ্কায় রাজধানী ঢাকা সহ আরও কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

.