Azerbaijan-Armenia Conflict: উত্তপ্ত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সীমান্ত, সংঘর্ষে নিহত শ'খানেক সেনা
দু'টি দেশের সংঘাতের নেপথ্যে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমানা অনুযায়ী অঞ্চলটি আজারবাইজানেরই অংশ, তবে সেখানকার বাসিন্দারা জাতিগতভাবে আর্মেনীয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সীমান্তে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক লড়াইয়ে দুই দেশের প্রায় ১০০ সেনা নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাতের সংঘাতে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, রাতভর লড়াইয়ে দেশটির ৪৯ সেনা নিহত হয়েছেন। অন্য দিকে, নিজেদের ৫০ জন সেনা নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিবেশী দুটি দেশ এখনও পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। তিন দশক ধরে কখনও না কখনও সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুদেশ। তবে এবার সংঘাত বন্ধের উদ্দেশ্যে মধ্যস্থতা করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে দু দেশের মধ্যে।
আর্মেনিয়া প্রথম জানিয়েছিল, লড়াইয়ের তীব্রতা কমেছে, তবে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। দু'টি দেশের এ সংঘাতের নেপথ্যে রয়েছে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমানা অনুযায়ী অঞ্চলটি নিঃসন্দেহে আজারবাইজানের। তবে সেখানকার বাসিন্দারা জাতিগতভাবে আর্মেনীয়। এই সাংস্কৃতিক বিভাজন রাজনীতি ছাড়িয়ে ধর্মীয় বিষয়েও গড়িয়েছে। আবার আজারবাইজানের জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই মুসলিম। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির আগে দুটি দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল।
আরও পড়ুন: US Navy: ইউএফও'র ভিডিয়ো তাদের কাছে আছে, কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ করবে না তারা...
নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকে দুবার পুরোদস্তুর যুদ্ধে জড়ায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এতে ওই অঞ্চলের পাশাপাশি নিজেদের বিশাল ভূখণ্ডও হারায় আজারবাইজান। দেশটিতে সাত লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। এরপর সীমান্ত-সংঘাতের জের ধরে ২০২০ সালে আবার পুরোদমে যুদ্ধে জড়ায় তারা। ছ'সপ্তাহের লড়াইয়ে নিহত হয় প্রায় ৬৫০০ মানুষ। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি হয়।
এই লড়াইয়ে নিজেদের ভূখণ্ড উদ্ধার করে আজারবাইজান। চুক্তিতে নাগোরনো-কারাবাখের স্ট্যাটাস নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। আলোচনার মাধ্যমে সেটি নির্ধারণ করার কথা বলা হয় চুক্তিতে।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে পুরোদমে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে দুপক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া-সহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলি।