৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর রইল না, ৫ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে কর কমে হল ৫%
আয়করে কাঠামোর ক্ষেত্রে রদবদল। আড়াই লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাদের আয়, তাদের এবার থেকে ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। আগে এই হার ছিল ১০ শতাংশ।
ওয়েব ডেস্ক: বিত্তশালীদের ওপর অতিরিক্ত সারচার্জ আর মধ্যবিত্তদের জন্য বিপুল ছাড়। চুম্বকে এটাই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির এবারের কর প্রস্তাব। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে এবার থেকে কোনও কর দিতে হবে না। আড়াইলক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়করের পরিমান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হল। কিন্তু, বিত্তশালীদের ওপর সারচার্জের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বছরে ৫০লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা আয় হলে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সারচার্জ লাগু হবে। ১ কোটি টাকা বেশি আয় যাঁদের তাঁদের ওপর লাগু সারচার্জের পরিমান ১৫ শতাংশ।
Propose to reduce existing rate of taxation of those with income between 2.5 lakh to 5 lakh from 10% to 5%: FM Jaitley
— ANI (@ANI_news) February 1, 2017
এছাড়াও, আজ যেসব ঘোষণা করা হল, সেগুলি দেখে নিন এক ঝলকে-
- বরাদ্দ ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি। এরমধ্যে ৫৫ হাজার কোটি টাকা দেবে অর্থমন্ত্রক
- যাত্রী সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন পরিষেবায় জোর। আগামী ৫ বছরের মধ্যে তৈরি করা ১০ লাখ কোটির একটি আলাদা তহবিল
- ২০২০ সালের মধ্যে প্রহরীবিহীন ক্রসিং তুলে দেওয়া হবে
- ৭ হাজার স্টেশনে সৌর বিদ্যুত্
- রেল লাইনের সম্প্রসারণ ঘটানো হবে। তৈরি করা হবে ৫০০ কিমি নতুন রেলপথ
- ১৭টি রেল প্রকল্পে আলাদা নজর দেওয়া হবে। রেলের উন্নতিতে জোর দেওয়া হবে PPP মডেলে
- ২০১৯ সালের মধ্যে রেলের সব কোচে থাকবে বায়ো-টয়লেট
- ৫০০টি স্টেশনে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যুক্ত মানুষদের জন্য তৈরি করা হবে লিফট ও চলমান সিঁড়ি সহ বিশেষ ব্যবস্থা
- কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে মেট্রো রেলে নতুন পলিসি
- IRCTC-র মাধ্যমে ই-টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ তুলে নেওয়া হবে
- নারী ও শিশুকল্যাণ খাতে বরাদ্দ ১.৫ লক্ষ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১.৮৪ লক্ষ কোটি করা হল
- ৫০ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতকে দারিদ্র মুক্ত করা হবে
- অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের জন্য 'কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' থাকবে
- 'ডিভেস্টমেন্ট' নীতি জারি থাকবে
- আন্তর্জাতীক প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে 'ইন্টিগ্রেটেড' তৈল সংস্থা তৈরি করা হবে
- আইআরসিটিসি-কে তালিকাভুক্ত করা হবে
- 'লেন্ডিং টার্গেট'কে দ্বিগুন করে ২.৪৪ লক্ষ কোটি করা হবে
- ভারত আগামী দিনে অপ্রথাগত অর্থনীতি থেকে প্রথাগত অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে। আর এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়তে চলেছে
- শুরু থেকেই বাজেটে ছিল গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে একাধিক বরাদ্দ
- পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ করা হল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা
- কৃষিক্ষেত্রে দেশজুড়ে ঋণের বরাদ্দ ধার্য করা হয়েছে ১০ লাখ কোটি টাকা, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ
- ফসল বীমা যোজনায় বরাদ্দের সীমা বাড়ানো হল। ধার্য করা হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা