WhatsApp Chat কি সত্যিই নিরাপদ! তাহলে কীভাবে প্রকাশ্যে এল বলিউডের সিক্রেট কথাবার্তা?
আরিয়ান-অনন্যা থেকে দীপিকা-রিয়া চক্রবর্তী, কীভাবে প্রকাশ্যে এল তাঁদের চ্যাট?
নিজস্ব প্রতিবেদন: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাট এন্ড-টু-অন্ড এনক্রিপ্টেড (end-to-end encrypted)। প্রেরক বা সেন্ডার এবং গ্রাহক বা রিসিভার ছাড়া কেউ তা পড়তে পারেন না। এমনকী খোদ হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) পক্ষেও নাকি এন নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। এমনটাই দাবি করে সংস্থাটি। কিন্তু এরপরেও একটা প্রশ্ন উঠছে। যদি হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাট এন্ড-টু-অন্ড এনক্রিপ্টেডই হয় (end-to-end encrypted), তবে কীভাবে বলিউডের বিভিন্ন কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যাট প্রকাশ্য়ে চলে আসে? কীভাবে চ্যাটের নাগাল পাওয়া যায়? ঠিক যেমন আরিয়ান খানের (Aryan Khan) সঙ্গে অনন্যা পাণ্ডের (Ananya Panday) চ্যাট হাতে এসেছে NCBর।
২০২০-তে সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুকাণ্ডের সময়ও অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাট সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এমনকী একজন মাদক কারবারির সঙ্গে দীপিকা পাডুকোনের (Deepika Padukone) হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) কথাও প্রকাশ্যে আসে। মেসেজিং অ্যাপটি এন্ড-টু-অন্ড এনক্রিপ্টেড (end-to-end encrypted) হলেও, কীভাবে এগুলো হল?
আরও পড়ুন: Google: কমে গেল প্লে স্টোর ফি, উপক্রিত সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক অ্যাপ
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর ২০০টি দেশের বাজারে আসছে PUBG: New State
WhatsApp-এর Frequently Asked Questions (FAQ)-এ বলা হয়েছে, 'হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাট এন্ড-টু-অন্ড এনক্রিপ্টেড (end-to-end encrypted)। কারও মেসেজ পড়ার বা ভয়েস কল শোনার কোনও ক্ষমতা হোয়াটসঅ্যাপের নেই। মেসেজ এনক্রিপশন এবং ডিক্রিপশন গোটাটাই আপনার (গ্রাহকের) ডিভাইসে হয়। আপনার ডিভাইস থেকে পাঠানোর আগে পর্যন্ত মেসেজটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক লক দ্বারা নিরাপদ থাকে। যা খোলার চাবি একমাত্র গ্রাহকের হাতে রয়েছে। প্রতিটা মেসেজের সঙ্গে সঙ্গে সেই চাবিও পরিবর্তিন হতে থাকে। গোটাটাই চোখের অলক্ষ্য়ে ঘটছে।'
কীভাবে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের নাগাল পাওয়া সম্ভব?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাটের নাগাল পাওয়া একমাত্র সম্ভব যদি কেউ জ্ঞানত বা অজ্ঞানত নিজের মোবাইল অন্য কাউকে দেখতে দেন বা ব্যবহারের অনুমতি দেন। অন্য কারও ব্যক্তিগত ডিভাইস বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে গেলে আদৌ আইনি অনুমতি লাগে কিনা, ভারতে বিষয়টি এখনও অতটা স্পষ্ট নয়। তবে আমেরিকা বা ইউরোপের বহুদেশে, কারও ব্যক্তিগত ডিভাইস বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে গেলে আইনি অনুমতি লাগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এমন হতেই পারে, আপনার মোবাইলটি আনলক করে কারও হাতে তুলে দিলেন। এরপর সেই ব্যক্তি নিজের প্রয়োজন মতো আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করল। চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে নিল এছাড়া মোবাইল আনলক না থাকলেও ফরেনসিক দল তা থেকে চ্যাট বের করতে পারে। কারণ, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এনক্রিপ্টেড হলেও, গুগুল ড্রাইভ (Google Drive) বা আইক্লাউড (iCloud) এক্রিপ্টেড নয়। এছাড়া প্রয়োজনে গুগল বা অ্যাপেলের থেকে চ্যাট চেয়ে পাঠাতে পারেন তদন্তকারী সংস্থাগুলো।