আকাশ আতঙ্ক-ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে গ্যাস লিক

মহাকাশে মহাবিপদ। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে) 'বিষাক্ত' গ্যাস লিক হওয়ায় মুহূর্তের জন্য আতঙ্ক ছড়াল। বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা নাসার দিকের অংশে হঠাত্ই নির্গত হতে থাকে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস। তবে নাসা থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশচারীরা নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদেরকে সরানো হয়েছে স্পেস স্টেশনের রাশিয়ার দিকের অংশে।

Updated By: Jan 14, 2015, 08:15 PM IST
আকাশ আতঙ্ক-ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে গ্যাস লিক
PIC: NASA

ওয়েব ডেস্ক: মহাকাশে মহাবিপদ। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে) 'বিষাক্ত' গ্যাস লিক হওয়ায় মুহূর্তের জন্য আতঙ্ক ছড়াল। বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা নাসার দিকের অংশে হঠাত্ই নির্গত হতে থাকে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস। তবে নাসা থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশচারীরা নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদেরকে সরানো হয়েছে স্পেস স্টেশনের রাশিয়ার দিকের অংশে।

রাশিয়ার ফেডারেল স্পেস এজেন্সি দাবি করেছে, স্পেস স্টেশনে কুলিং সিস্টেম থেকে নিগ্রত হচ্ছিল 'বিষাক্ত গ্যাস'। ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে ছিলেন দু মার্কিন, এক ইতালিয়ান ও ৩ জন রাশিয়ান মহাকাশচারী। হাউসটনের ফ্লাইট কন্ট্রোল থেকে জানানো হয়েছে, আর কোনও ভয়ের কারণ নেই। সবাই নিরাপদে রয়েছেন।

 ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে মোট পাঁচটি অংশে ভাগ করা আছে। নাসা, ন্যাশনাল এরোনটিক্‌স এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা (যুক্তরাষ্ট্র),রাশিয়ান ফেডারেল স্পেস এজেন্সি (রাশিয়ান ফেডারেশন),জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাপান),কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি (কানাডা), ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা এসা। বিপত্তি ঘটে নাসার দিকে অংশে।

ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনের প্রাক্তন কানাডিয়ান মহাকাশচারী ক্রিশ হ্যাডফিল্ড টুইটে জানান, "স্পেস স্টেশনকে ঠান্ডা রাখার জন্য অ্যামোনিয়া ব্যবহার হয়। পাইপ ও হিট এক্সচেঞ্জারের মধ্যে দিয়ে অ্যামোনিয়া প্রবাহিত হয় পুরো স্টেশন। এরজন্য আমদেরকে প্রশক্ষিণও দেওয়া হয়ে থাকে। আশা করি মহকাশচারীরা ও MCC (মিশন কন্ট্রোল সেন্টার) খুব ভাল কাজ করেছে।

তবে কী কারণে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হওযার অ্যালার্ম বেজে উঠল এখন কোনও খবর দিতে পারেনি নাসা।

অন্যান্য কিছু মহাকাশ স্টেশনের মত এটিও খালি চোখে পৃথিবী থেকে দেখা যায়। এটি প্রতিদিন ১৫.৭ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীতে করা সম্ভবনা বা কঠিন এমন কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা এখানে করা হয়ে থাকে।  

.