তল্লিগুঁড়িতে নৃশংসভাবে খুন প্রৌঢ়া, পলাতক স্বামী
ওয়েব ডেস্ক: নিজের বাড়িতেই প্রৌঢ়ার গলাকাটা দেহ। পাশেই কাটা মাথা, রক্ত মাখা দা। নৃশংস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার শহর লাগোয়া তল্লিগুঁড়িতে। মাত্রা ছাড়া শারীরিক চাহিদা মেটাতে না পারার জন্যই, মহিলাকে তাঁর স্বামী খুন করেছেন বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।
কোচবিহারে তল্লিগুঁড়ির গয়েরগাড়ি এলাকার এই বাড়িতেই ঘটে গেছে ভয়াবহ ঘটনা। শারীরিক চাহিদা না মেটায় স্ত্রী-কে খুন? দীর্ঘদিন চেনা-জানার সুবাদে প্রতিবেশীরা অন্তত তেমনই বলছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে দুধওয়ালা এসে ডাক দিলেও দরজা খোলেনি। এক প্রতিবেশী মহিলা এসে দেখেন ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে রক্ত স্রোত। ঘরে ঢুকতেই চোখে পড়ে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সবিতা রায়ের দেহ। দেহের পাশে কাটা মাথা, রক্ত মাখা দা।
৬৫ বছরের প্রমোদ রায় ও ৫৫ বছরের সবিতা রায় - দুই ছেলে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। তিন মেয়েরও বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে শুধু স্বামী স্ত্রী। প্রতিবেশীরা বলছেন, বাড়ির বাইরে নিপাট ভাল মানুষ হলেও প্রমোদ রায় প্রায়ই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। প্রমোদের শারীরিক চাহিদা বেশি হওয়ায় তা নিয়ে স্ত্রী সবিতার সঙ্গে তাঁর অশান্তি লেগেই ছিল। কিছুদিন আগে বেঙ্গালুরুতে ছেলের কাছে গেলেও স্ত্রীকে জোর করে বাড়ি নিয়ে আসেন প্রমোদ। ঘটনার পর থেকেই প্রমোদ পলাতক। স্ত্রী-কে হত্যার অভিযোগে তাঁকে খুঁজছে পুলিস।