ভাঙড়ে গুলি চালাল কে? এই নিয়ে তৃণমূল ও জমি রক্ষা কমিটির মধ্যে চলছে দোষারোপের পালা
ওয়েব ডেস্ক: ভাঙড়ে আবার গুলি চলল। মারা গেলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। কিন্তু গুলি চালাল কে? এই নিয়ে তৃণমূল ও জমি রক্ষা কমিটির মধ্যে শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। অশান্তির আবহাওয়াতেই ভাঙড়ে মিছিল করেছে জমিরক্ষা কমিটি।
অশান্তির চোরাস্রোত বইছিলই। রবিবার ফের উত্তপ্ত হল ভাঙড়। রবিবার সকালে নতুনহাটে গুলিবিদ্ধ হলেন আরাবুল ঘনিষ্ঠ নেতা আশিকুর রহমান ওরফে বাবুসোনা। আশিকুর ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কে চালাল গুলি? কেন চলল গুলি? এই নিয়ে দুই তরফে দুই ধরণের বয়ান সামনে এসেছে। আরাবুল গোষ্ঠীর দাবি, নতুনহাটে বৈঠক করার সময় জমি জীবিকা রক্ষা কমিটির লোকেরা দূর থেকে আরাবুলকে লক্ষ করে গুলি চালায়। সেই গুলি লাগে আশিকুর রহমানের মাথায়।
আন্দোলনের নেতারা জামিন পাওয়ার পর রবিবার ভাঙড়ে মিছিলের ডাক দেয় জমিরক্ষা কমিটি। তাদের পাল্টা দাবি, মিছিল রুখতে নতুনহাটে লোকজন জমায়েত করেছিলেন আরাবুল ইসলাম। তখনই বন্দুক পরীক্ষার সময় গুলি ছুটে লাগে আশিকুরের মাথায়।
পরে জমিরক্ষা কমিটির তরফে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, নতুনহাটে গুলি চলার পিছনে রয়েছে আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের ঘরোয়া কোন্দল। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কাইজার। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পরেই ভাঙড় অশান্ত হয়। ঘটনাস্থলে অবরোধ করা হয়। বিকেলে খামারআইট ও মাছিডাঙা গ্রামের বাইরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। জমিরক্ষা কমিটির অভিযোগ, গ্রামবাসীদের মিছিলে যোগ দেওয়া আটকাতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা। অশান্তির এই আবহেই রবিবার বিকেলে মিছিল হয় ভাঙড়ে। যোগ দেন রাজ্য বামফ্রন্টের একাধিক নেতা।