Jhargram Guptamani Temple: একদা নরবলিও হত! আজ বিবর্ণ, সংস্কারহীন মা গুপ্তমণির মন্দির...
Renovation Of Guptamani Temple: কবে সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে মা গুপ্তমণির মন্দিরে, কবে দর্শনার্থীদের জন্য একটি গেস্ট হাউস তৈরি করা সম্ভব হবে-- এসব নিয়ে রীতিমতো ধন্দে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আবার জেলাশাসকের পরিবর্তনও হয়ে গিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগে ছিল গভীর জঙ্গল। তার ভিতরে মায়ের আরাধনাস্থল। একদা নরবলিও হত। আজ আর সেই জঙ্গল নেই। আজ মা গুপ্তমণি আর মোটেই 'গুপ্ত' নন, তিনি সদা প্রকাশ্য। তবে তাঁর মন্দিরটির সংস্কার জরুরি। কিন্তু আজও তা হয়নি। মন্দির সংস্কারে-সংরক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী বরাদ্দও করেছেন এক কোটি। অথচ আজও একটি ইটও কেনা হয়নি গুপ্তমণি মন্দিরে। কেটে গিয়েছে তিনটি বছর। অভিযোগ, খোঁজও নেই সেই ১ কোটি টাকার। ৭ অক্টোবর ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে জনসভায় ঝাড়গ্রামের পর্যটনস্থল ও জনপ্রিয় মন্দিরগুলি সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Dakshin Dinajpur: প্রদীপের নীচে অন্ধকার! কালীপুজোর আগেই ঘোর অমাবস্যা কুমোরপাড়ায়?
এর মধ্যে কনকদুর্গা মন্দির সংস্কারের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। লোধা-শবরদের পরিচালিত গুপ্তমণিতে পুণ্যার্থীদের থাকার গেস্টহাউসের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির নতুন রূপ পাচ্ছে। সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে সেখানে। চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দির ও রামেশ্বরের মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের মুখে।
অথচ একই সঙ্গে বরাদ্দ হলেও মা গুপ্তমণির মন্দিরে এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা গিয়ে পৌঁছয়নি-- এমনই অভিযোগ তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরেই তৎকালীন ডি এম জয়শী দাশগুপ্তের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মন্দির পরিদর্শন করবেন, আর তার পরেই শুরু হয়ে যাবে কাজ। কথামতো, তা হয়েওছিল। কিন্তু আজ দু'বছর পেরিয়ে গিয়েছে মন্দিরের কোনও সংস্কারকাজই শুরু হয়নি। হবে কী করে? মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে কোনও টাকাই গিয়ে পৌঁছয়নি! এমনই দাবি এলাকার সাধারণ মানুষের এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: Lakshmi Puja: লিখেছেন নজরুল থেকে সত্যজিৎ! ৭৭ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে চলেছে হাতে-লেখা শারদীয়া...
কবে সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে মা গুপ্তমণির মন্দিরে, কবে দর্শনার্থীদের জন্য সেখানে একটি গেস্ট হাউস তৈরি করা সম্ভব হবে-- এসব নিয়ে রীতিমতো ধন্দে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আবার জেলাশাসকের পরিবর্তনও হয়ে গিয়েছে। বর্তমান জেলাশাসক বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতেও নারাজ, শোনা যাচ্ছে এমনই। তাহলে কী হবে? শেষ পর্যন্ত সেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়েই বসে রয়েছেন স্থানীয় মানুষ থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)