Midnapur: আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার কথা ছিল, উল্টে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫১ হাজার
মৌসুমী মণ্ডল জানালেন, একটা ফোন এসেছিল। আমাকে বলা হয় আবাস যোজনা টাকা ঢুকবে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আজই লাস্ট ডেট। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আপনার পাস বইটার ছবি দিন হোয়াটসঅ্যাপে। ফোনে একটা ওটিপি যাবে
চম্পক দত্ত: আবাস যোজনার বাড়ির টাকা দেওয়া হবে। বিডিও অফিস থেকে বলছি। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক মহিলাকে কাছে এল এমনই এক ফোন। ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও মোবাইলে আসে ওটিপি বলতেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫১ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন-শোচনীয় আর্থিক অবস্থা; বাড়িঘর জরাজীর্ণ, অন্যের জমিতে দিনমজুরি করে সংসার টানের এই পঞ্চায়েত প্রধান
এমনই এক প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন ক্ষীরপাই পুরসভার কাশীগ়্জের বাসিন্দা মৌসুমী মণ্ডল। ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করলেন ওই মহিলা। মৌসুমী মন্ডলের অভিযোগ, শনিবার তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। তাঁকে ফোনে বলা হয় আবাস প্রকল্পে আপনার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা আপনার একাউন্টে আজ পাঠানো হবে। আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার বলুন, এমনকি তারপরে মোবাইলে একটি ওটিপি আসে সেটি ওই মহিলার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়, তারপরে তিন দফায় মহিলার একাউন্ট থেকে ৫১ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে ক্ষীরপাই পুলিস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই মহিলা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
মৌসুমী মণ্ডল জানালেন, একটা ফোন এসেছিল। আমাকে বলা হয় আবাস যোজনা টাকা ঢুকবে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আজই লাস্ট ডেট। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আপনার পাস বইটার ছবি দিন হোয়াটসঅ্যাপে। ফোনে একটা ওটিপি যাবে। কিছুক্ষণ পরে একটা ওটিপি এল। সেটা বলতেই ২৪ হাজার ৫০০ টাকা কেটে নিয়েছে। তারপর তিনধাপে কেটে নিয়েছে মোট ৫১ হাজার টাকা।
গতকালই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে প্রেমের অভিনয় করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিল এক যুবক। ঘটনা ঠিক কী? পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার কদমতলা এলাকার বাসিন্দা শঙ্খ মণ্ডল। অভিযোগ, ফেসবুকে মহিলা পরিচয় দিয়ে এক ভুয়ো অ্য়াকাউন্ট খুলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই অ্য়াকাউন্ট থেকে আবার মেসেজ করেন দাসপুরের এক যুবককে! এরপর দু'জনের মধ্যে ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয়।
তারপর? অভিযোগ, দাসপুরের যুবকের সঙ্গে নাকি মহিলার কণ্ঠ নকল করে প্রেমের অভিনয় করেন শঙ্খ! প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি ওই যুবক। বরং প্রেমে এতটাই মজে যান যে, অভিযুক্তকে ৯০ হাজার টাকা দিয়েও দেন তিনি। এরপর যখন সন্দেহ হয়, তখন অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। এমনকী, টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজেই মহিলা কণ্ঠে নকল করে প্রেমিকাকে পাকড়াও করে তুলে দেন পুলিসের হাতে।