জিটিএ-র কাজে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার : মমতা

পাহাড়ের উন্নয়ন-সংস্কৃতি পাহাড়বাসীর হাতেই। জিটিএ-র কাজকর্মে নাক গলাবে না সরকার। দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। একইসঙ্গে, প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, দার্জিলিংয়ের শান্তি নষ্ট করতে বাইরে থেকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বাংলা থেকে পাহাড়কে আলাদা করা যাবে না।

Updated By: Feb 7, 2018, 08:40 PM IST
জিটিএ-র কাজে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার : মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: পাহাড়ের উন্নয়ন-সংস্কৃতি পাহাড়বাসীর হাতেই। জিটিএ-র কাজকর্মে নাক গলাবে না সরকার। দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। একইসঙ্গে, প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, দার্জিলিংয়ের শান্তি নষ্ট করতে বাইরে থেকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বাংলা থেকে পাহাড়কে আলাদা করা যাবে না।

মাস কয়েক আগেও উত্তপ্ত ছিল পাহাড়। প্রশাসনিক বৈঠক থামাতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই অতীত পিছনে ফেলে ছন্দে ফিরছে কুইন অব হিলস। বুধবার  শান্ত-স্নিগ্ধ -সুন্দর পাহাড়ে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য যে আগাগোড়া দার্জিলিংয়ের পাশে আছে তা এদিন ফের স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

গতকয়েকমাসে লাগাতার বনধে বিপর্যস্ত হয়েছে পাহাড়। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। এদিন সেই প্রসঙ্গে তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দেন, বাইরের উস্কানিতে পা না দিয়ে পাহাড়কে শান্ত রাখার দায়িত্ব পাহাড়ের মানুষেরই। অশান্তির প্রসঙ্গে সরাসরি সিকিমকে নিশানা করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, দার্জিলিং অশান্ত হলে লাভ সিকিমের। সেইজন্যই শান্তি নষ্টের চক্রান্ত চলছে।

আরও পড়ুন- কেমন আছেন, প্রশ্ন নিয়ে দার্জিলিয়ের পথে ঘাটে মমতা

একইসঙ্গে, শিল্পপতিদের পছন্দের তালিকায় পাহাড়কে তুলে আনতে দার্জিলিংয়ে শিল্প সম্মেলনের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রতিশ্রুতি,পাহাড় শান্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ও হবে।

আট মাস পর পাহাড়ের বুকে দাঁড়িয়ে এভাবেই আগামী উন্নয়নের রূপরেখা বেধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে উন্নয়নের জন্য মিরিকে নতুন ট্রেজারি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের উন্নয়নের টাকা যাবে এখান থেকেই।

.