কেমন আছেন, প্রশ্ন নিয়ে দার্জিলিয়ের পথে ঘাটে মমতা
কাজে যাওয়ার পথে দিদিকে দেখে অভিভূত পাহাড়ের মানুষ। কেউ হাত জোড় করলেন...কেউ এগিয়ে এলেন খাদা হাতে...হাঁটার পথে বার বার থমকে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীও। কখনও গাল টিপে দিলেন একরত্তির.. কারও কাছে জানতে চাইলেন, কেমন আছেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: আট মাস পরে পাহাড়ে নিজের ছন্দে মুখ্যমন্ত্রী। রিচমণ্ড থেকে সিংমারির পথে হাঁটলেন। তার ফাঁকে জেনে নিলেন পাহাড়বাসীর মন। পথ চলতি মানুষের কাছে জানতে চাইলেন কেমন আছেন তাঁরা? দিদিকে এতদিন পর হাতের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত দার্জিলিংয়ের মানুষও।
সেটা ছিল জুন। সিংমারিতে মোর্চার পার্টি অফিসের সামনে হাঁটছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্যাবিনেট বৈঠকের আগের দিন পাহাড়ের মন জানতে পথে নেমেছিলেন। তারপর, তিস্তাতোর্সা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। আট মাস পর অশান্তি এখন অতীত। পাহাড় ছাড়া গুরুং। বিনয়-অনীতদের হাত ধরে ছন্দে ফিরেছে কুইন অব হিলস। আর সেই ছন্দ আরও স্বতঃস্ফূর্ত করতে পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী। আট মাস আগে যেখানে ছেড়েছিলেন... এবার ধরলেন ঠিক সেখান থেকেই।
ঘড়িতে তখন দশটা। সবে স্কুল-কলেজ-অফিসের পথে পা বাড়িয়েছে পাহাড়। রিচমণ্ড হিলস থেকে বেরিয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যান সিংমারির দিকে। কাজে যাওয়ার পথে দিদিকে দেখে অভিভূত পাহাড়ের মানুষ। কেউ হাত জোড় করলেন...কেউ এগিয়ে এলেন খাদা হাতে...হাঁটার পথে বার বার থমকে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীও। কখনও গাল টিপে দিলেন একরত্তির.. কারও কাছে জানতে চাইলেন, কেমন আছেন?
মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পাহাড়বাসী... মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবি একটাই, হিংসা নয়..শান্তি চাই।
এরপর চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ফের রিচমণ্ডে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে পাহাড়বাসীর মন জয় করেছেন নিজের ছন্দে। দার্জিলিংয়ের মানুষ বুঝতে পারছেন গোর্খ্যালান্ডের ধুয়ো তুলে হিংসাত্মক আন্দোলন আর নয়...উন্নয়নই ফেরাতে পারে হাল। আর সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাদের সবচেয়ে বড় সম্বল।