রাজগঞ্জ কাণ্ডে গণধর্ষণ হয়নি দুই নাবালিকার, বলছে মেডিক্যাল রিপোর্ট
গত ৪ সেপ্টেম্বর পাশের গ্রামে কাকার বাড়ি থেকে ফেরার সময় দুই নাবালিকার পথ আটকায় কয়েকজন। তারপর তাদের টানতে টানতে পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় তারা
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজগঞ্জ কাণ্ডে দুই নাবালিকার গণধর্ষণ হয়নি। মেডিক্যাল রিপোর্ট উল্লেখ করে এমনটাই জানালেন শিশু অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, মেডিক্য়াল রিপোর্ট বলছে, ওই দুই নাবালিকার ধর্ষণ হয়নি। তবে, আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর পাশের গ্রামে কাকার বাড়ি থেকে ফেরার সময় দুই নাবালিকার পথ আটকায় কয়েকজন। তারপর তাদের টানতে টানতে পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় তারা। সেখানেই তাদের গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই দুই বোন নিঁখোজ ছিল। দু'দিন পর বাড়ি ফেরে তারা। এরপর দু'জনের কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তত্ক্ষণাত্ মৃত্যু হয় বড় বোনের। অন্যজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- যে ভাবে মেরে গাছে ঝোলানো হচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে একটা সিরিজ চলছে, গোঘাট কাণ্ডে তোপ দিলীপের
এ ঘটনায় গণধর্ষণ এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ৫জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। শিশু অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের একটি দল জলপাইগুড়ি জেলা ও পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। অনন্যাদেবী জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে গণ ধর্ষনের প্রমাণ মেলেনি। শরীরে তেমন কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।