উত্তাল সমুদ্রে ৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াই, তেলের ব্যারেল আঁকড়ে দীঘায় উঠলেন ৩ মত্সজীবী

শঙ্করপুর থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে ওই ৫ মত্সজীবীর বোটটি খারাপ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ঢেউয়ের তোড়ে তাতে ফুটো হয়ে ডুবেও যায়

Updated By: Sep 9, 2019, 09:14 AM IST
উত্তাল সমুদ্রে ৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াই, তেলের ব্যারেল আঁকড়ে দীঘায় উঠলেন ৩ মত্সজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদন: জুলাইয়ের পর ফের সেপ্টেম্বর। নৌকোডুবির পর সমুদ্রে কয়েক ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন ৩ মত্সজীবী। তাদের অন্য ২ সঙ্গী একটি ট্রলারে গিয়ে উঠেছেন বলে খবর।

মঙ্গলবার ভোরে শঙ্করপুর থেকে যন্ত্রচালিত বোটে চেপে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পূর্ব মোদিনীপুরের ৫ মত্সজীবী। দুর্ভাগ্যক্রমে শঙ্করপুর থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে ওই ৫ মত্সজীবীর বোটটি খারাপ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ঢেউয়ের তোড়ে তাতে ফুটো হয়ে ডুবেও যায়। তখন সন্ধে সাতটা হবে। তার পর থেকেই বাঁচার চেষ্টায় লড়াই শুরু হয় ৩ মত্সজীবীর। অন্য ২ জন বেগতিক দেখে আগেই পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন-‘দেড় বছরের মধ্যেই ভারতের হাতে আসবে রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম’

বোট হারিয়ে তেলের খালি ব্যারেল ও বাঁশ আঁকড়ে ধরে তারা ভাসতে থাকেন সমুদ্রে। শেষপর্যন্ত ওই ৫ মত্সজীবীদের মধ্যে ৩ জন রবিবার রাতে এসে ওঠেন দীঘার ক্ষণিকা ঘাটে। তাদের উদ্ধার করে দীঘা থানার পুলিস। এরা হলেন শুকদেব মাঝি, বাড়ি চিংড়া ভূপতিনগর, বিকাশ দাস ও নন্দকুমার নন্দ। শেষ দুজনেই বাড়ি উত্তর ডিহিবাড়।

এদিকে, অন্য ২ মত্সজীবী গৌতম বর্মন ও স্বদেশেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বোট ডুবে যাচ্ছে দেখে তারা সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে দূরে একটি ট্রলারের আলো দেখে এগিয়ে যান। তার পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা শেষপর্যন্ত উঠেছিলেন একটি ট্রলারে। সোমবার তারা ওয়ারলেসের মাধ্যমে পুলিসকে তাদের বেঁচে থাকার খবর জানান।

আরও পড়ুন-আর্থিক প্রতারণা মামলায় মুকুল রায়কে তলব কলকাতা পুলিসের

জুলাই মাসে বঙ্গপোসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে উল্টে গিয়েছিল ট্রলার। ৫ দিন ভেসে থাকার পর জীবনযুদ্ধে জিতে বাড়ি ফিরেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মত্সজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস। খাবার, জল এমনকি লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ৫ দিন সমু্দ্রে বেঁচেছিলেন তিনি।

.