TMC: দণ্ডি বিতর্কে কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের, অপসারিত দলের মহিলা সভানেত্রী
বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে ১ কিমি পথ দণ্ডি কেটে তৃণমূলে জেলা কার্যায়ে আসেন ৩ আদিবাসী। এরপর তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শাসদলের মহিলা জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী।
প্রবীর চক্রবর্তী: দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডি বিতর্কের জের। সরিয়ে দেওয়া হল জেলা মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। দায়িত্বে এবার স্নেহলতা হেমব্রম।
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। শুক্রবার রাতে বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে ১ কিমি পথ দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে আসেন ৩ আদিবাসী। এরপর তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শাসকদলের মহিলা জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। কেন এভাবে যোগদান? অভিযোগ, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন ওই ৩ মহিলা। সেকারণেই নাকি প্রায়শ্চিত্ত করে ফের পুরানো দল ফিরলেন তাঁরা।
এদিকে ৩ মহিলার দণ্ডি কাটার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। যাঁরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন বিরোধীরা। বস্তুত, ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অবশেষে কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল নেতৃত্ব।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'দল এইরকম ঘটনা অনুমোদন করেনি। যদিও যারা দণ্ডি কেটে ছিলেন, তাঁরা বলেছিলেন, আমরা স্বেচ্ছায় দণ্ডি কেটেছি। কিন্তু যিনি মহিলা সভাপতি ছিলেন, তার এটা বন্ধ করে উচিত ছিল। তাঁর বোঝানো উচিত ছিল যে, তোমার ভুল করেছ। কিন্তু তৃণমূলে ফেরত আসলে সসম্মানে ফেরত আসবে। তৃণমূলে ফেরত আসার মানে এই নয় যে, প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে'।
আরও পড়ুন: Raninagar Blast: পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির পিছনেই বিস্ফোরণ! আতঙ্ক রানিনগরে
দণ্ডি বিতর্কে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি অবশ্য এখনও অনড়় বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসী মহিলাদের কী চোখে দেখেন, তাঁদের সম্পর্কে তৃণমূলের অভিমত কী এবং তাঁদের সঙ্গে কী ব্যবহার করেন, তা একবার প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্তব্য থেকে। সেই ট্র্যাডিশনও চলছে। এটাই যে তৃণমূলের পথ, এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করেছে'। তাঁর মতে, 'দলের পদ থেকে সরানো মূল্য় কী আছে? যিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক'।