Nirmal Majhi On Primary Recruitment: আন্দোলন না করে অভিষেকের কথা শুনলে কবেই টেট সমস্য়া মিটে যেত: নির্মল মাজি
সুজন চক্রবর্তী বলেন, নির্মাল মাজির মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার কোনও মানে হয় না। উনি কে সরকারের? মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রী ছাড়া ভাইপোর উপরে নির্মল মাজির বেশি ভরসা থাকতে পারে। মানুষের তা কেন থাকবে? মানুষ তো মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর উপরে নির্ভর করেছে
অরূপ লাহা: টেট আন্দোলন নিয়ে নাজেহাল সরকার। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের হয়রানিও শেষ নেই। তবে এতসব হতোই না যদি আন্দোলনকারীরা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কথা শুনতো। পূর্ব বর্ধমানে এক সভায় এসে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রোগ্রেসিভ ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। তৃণমূল নেতার ওই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধী মহলে। রবিবার বর্ধমানের ওই সভায় নির্মল মাজি বলেন, এই যে যারা টেট আন্দোলন করছে তাদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি দেখছি। তখন যদি এরা অভিষেকের কথা শুনতো তাহলে কবেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। তা না করে তারা বামপন্থী আইনজীবীদের কথা শুনে কোর্টে চলে গেল। তাহলে এখন তো কোর্টের ফয়সলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কোর্ট তো এখন সিদ্ধান্ত নেবে। এখন তো সরকারের কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে মঞ্চ পোড়ানোর অভিযোগ, শুভেন্দু-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে চিরুনি তল্লাশি
টেট নিয়ে এসব বলেই থেমে থাকেননি নির্মল মাজি। তিনি আরও বলেন, এখন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। একসময় দিদি নিজে বলেছিলেন সবার চাকরি দিয়ে দেব। তোমার প্রাক্তন মেয়রের কথায় মামলা করলে। আর বিজেপি তাতে সঙ্গ দিয়ে দিল। ওরা টাকা সাপ্লাই করছে। পেছন থেকে আন্দোলনে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। যদি দিদির উপরে গোটা বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হতো তাহলে কবেই সমস্যা মিটে যেত। এখন মহামান্য আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আমরা আছে। সেখান থেকে যা বলা হবে সেটাই সরকার করবে। তবে এত জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে। লাঠি, ইট ছোড়া হচ্ছে তার পরেও পুলিস সংযমের পরিচয় দিচ্ছে। সিপিএমের আমল হলে অন্য রকম কিছু হতো। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা শূন্য হয়ে যাবে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে উজাড় করে ভোট দেবে।
নির্মল মাজির ওই মন্তব্য নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, নির্মাল মাজির মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার কোনও মানে হয় না। উনি কে সরকারের? মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রী ছাড়া ভাইপোর উপরে নির্মল মাজির বেশি ভরসা থাকতে পারে। মানুষের তা কেন থাকবে? মানুষ তো মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর উপরে নির্ভর করেছে। ২০১২ সাল, ২০১৪ সালের পরীক্ষা নিয়ে সমস্য়া হয়েছে। তখন বিকাশবাবু কোথাও ছিলেন না। সরকার ফেল করেছে, লুঠ করেছে। ফলে মানুষ বাধ্য় হয়েছে আদালতে যেতে। আদালতকে এত ভয় পাচ্ছে কেন তৃণমূল কংগ্রেস?
এদিকে, এনিয়ে তৃণমূল সংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সবসময় সদার্থক মনোভাব নিয়ে সমস্য়া সমাধানের চেষ্টা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে বারবার কথা বলেছেন। কিন্তু বিরোধীরা চায় না সমস্য়া মিটে যাক। কারণ তা হয়ে গেলে ঘোলা জলে রাজনীতির করার সুযোগ তারা পাবে না। তাই কখনও মাংসওয়ালা ক্যাডার, কখনও ঘুগনিওয়াল ক্যাডারকে চাকরিপ্রার্থী হিসেবে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। আইনের বেড়জালে চাকরির রাস্তা আটকে দিচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীকে আমাদের অনুরোধ সরকারের উপরে ভরসা রাখুন। বিরোধীদের জালে পড়বেন না।