Jalpaiguri: প্রাইমারিতে চাকরির সুপারিশপত্রে থাকা ৩ জনই টেট পাস, বিতর্কে তৃণমূল নেত্রী

দুই দিন আগে ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে যতজন টেট পাস করেছিলেন সবার নামের তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।  সেই নামের তালিকাতে দেখা যায় মহুয়া গোপ যে তিনজনের নামে সুপারিশ করেছিলেন সেই তিনজনেই টেট পাস করেছিলেন

Updated By: Nov 13, 2022, 05:12 PM IST
Jalpaiguri: প্রাইমারিতে চাকরির সুপারিশপত্রে থাকা ৩ জনই টেট পাস, বিতর্কে তৃণমূল নেত্রী

প্রদ্যুত্ দাস: চাকরির সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের এক জেলা নেত্রী। প্রাইমারিতে চাকরির জন্য সেই সুপারিশ চিঠি ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। মাস চারেক আগের ওই ভাইরাল হওয়া চিঠিতে যে তিন জনের নাম লেখা ছিল তাদের সবাই টেট-এ পাস করেছেন। এনিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। যদিও ভাইরাল হওয়া সেই সুপারিশ চিঠির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি জি ২৪ ঘণ্টা। নিশানায় জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ। যে সময় তিনি ওই সুপারিশ চিঠি লিখেছিলেন বলে অভিযোগ, সেইসময় তিনি ছিলেন ক্রান্তি ব্লক তৃণমূলের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে মঞ্চ পোড়ানোর অভিযোগ, শুভেন্দু-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে চিরুনি তল্লাশি

যে সুপারিশ চিঠিটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে ক্রান্তি ব্লক তৃণমূলের প্যাডে ৩ জনের নামে প্রাইমারিতে সুপারিশ করা হয়েছে। ওই তিন প্রার্থী হলেন, অতনু দাস, স্বপন কুমার বিশ্বাস ও ইভানা পারভিন। এরপর ভেনু হিসেবে লেখা হয়েছে ফণীন্দ্র দেব ইনস্টিটিউশন। প্যাডে সিল রয়েছে তত্কালীন ক্রান্তি ব্লক তৃণমূলের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট মহুয়া গোপের। তারিখ দেওয়া হয়েছে ২৬ অক্টোবর  ২০১৬। সূত্রের খবর, ওই সুপারিশপত্র দেওয়া হয় ইন্টারভিউয়ের ৫ দিন আগে। ওই চিঠিটি ভাইরাল হওয়ার আসরে নামে বিরোধীরা। সেই সময় মহুয়া গোপ জানিয়েছিলেন ওই সুপারিশ চিঠিটি ফেক। কুত্সা চড়ানোর জন্য এসব করা হচ্ছে।

এদিকে, দুই দিন আগে ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে যতজন টেট পাস করেছিলেন সবার নামের তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।  সেই নামের তালিকাতে দেখা যায় মহুয়া গোপ যে তিনজনের নামে সুপারিশ করেছিলেন সেই তিনজনেই টেট পাস করেছিলেন। সেই তিনজনের মধ্যে স্বপন কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ৮৩, অতনু দাস পেয়েছেন ৯৪ এবং ইভানা পারভিন পেয়েছেন ৮৪।  যদিও এই তিন চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এনিয়ে রবিবার জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন,'আমরা আগে থেকেই বলেছিলাম মহুয়া গোপের সুপারিশে তিনজন চাকরি পেয়েছেন। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছেন। যদিও তিনি মামলা করার কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি সংবাদ মাধ্যমে বললেও আদতে আদালতের ধারে কাছে ঘেঁষেনি। তিনি ভালো করেই জানেন আদালতে আসলে দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হয়ে যাবে।'

অন্যদিকে যদি সুপারিশ পত্রটি সত্যিই হয়ে থাকে তবে দোষের কিছু দেখছেন না মহুয়া গোপ। তার দাবি, 'আমি দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতি করছি। বিভিন্ন পদে ছিলাম। ঠিক মনে পড়ছে না। তবে সেই সময় দলের জেলা সভাপতি ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। আমরা ব্লকের নেতৃত্ব ছিলাম। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে সুপারিশ করব, এতে দোষের কিছু নেই। আমি এখন দলের জেলা সভাপতি আছি। সেইজন্য আমার নামে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে। তৎকালীন জেলা সভাপতির নাম কেউ নিচ্ছে না। বিরোধীদের কাজ নেই তাই এসব করছে।'

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.