SSC Sacm: গ্রুপ ডি-র চাকরি করতেন স্কুলে, বাড়ি থেকে মিলল যুবকের মৃতদেহ
এলাকাবাসী সুত্রে খবর, দিলীপ বহু বছর ধরেই দেশবন্ধু পাড়ার এই এলাকায় বসবাস করে। অবিবাহিত। শনিবার রাতে নির্মীয়মান সংস্থার সেই মহিলা কর্মীর সাথে তার কথা হয়৷ সে জানায় তার শরীর অসুস্থ। চাকরি চলে যাওয়া নিয়েও কথা হয়। সেই অসুস্থতার খবর পেয়েই মহিলা কর্মী তার বাড়িতে চলে আসে।
নারায়ণ সিংহ রায় ও প্রদ্যুত্ দাস: শিলিগুড়িতে নিজের বাড়ি থেকে মিলল গ্রুপ ডি কর্মীর মৃতদেহ। কোচবিহারের হলদিবাড়ি দাড়িপট্টনী উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি-র কর্মী ছিলেন দিলীপ বিশ্বাস(৪৬) নামে ওই ব্যক্তি। জলপাইগুড়ি দোমোহনী মরিচবাড়ি এলাকায় আদি বাড়ি তাঁর। শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। কেন মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন-উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীনই কি ফের ভোগান্তি শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায়! গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা রেলের
বহুবছর ধরেই জলপাইগুড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না দিলীপের। রবিবার শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার তার ঘরে থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্কুলের চাকরির পাশাপাশি একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গেও সে যুক্ত ছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে গ্রুর ডির চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম ছিল দিলীপের। দাদা দীনবন্ধু বিশ্বাস বলেন, চাকরি চলে গিয়েছিল ভাইয়ের। তাই মানসিক অবসাদে ভুগছিল।
শিলিগুড়িতে বাড়ি মালিক সন্তোষ ভট্টাচার্য জানান, "গতকাল একজন মহিলা তার ঘরের সামনে এসে তাকে ডাকাডাকি করে। এর আগে তাকে দেখিনি আমরা। স্কুলের চাকরির পাশাপাশি সে একটি নির্মীয়মান সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিল। সেই নির্মীয়মান সংস্থারই কর্মী বলে পরিচয় দেন সেই মহিলা। ডাকাডাকি করলেও দিলীপের কোন সাড়াশব্দ মেলেনি। অবশেষে পাড়ার কাউন্সিলরকে ডেকে পাঠাই। ঘরের পেছনের জানালা ভেঙে দেখি দিলীপ উল্টো হয়ে মশারি জড়িয়ে মেঝেতে পড়ে রয়েছে৷ তারপর পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।"
এলাকাবাসী সুত্রে খবর, দিলীপ বহু বছর ধরেই দেশবন্ধু পাড়ার এই এলাকায় বসবাস করে। অবিবাহিত। শনিবার রাতে নির্মীয়মান সংস্থার সেই মহিলা কর্মীর সাথে তার কথা হয়৷ সে জানায় তার শরীর অসুস্থ। চাকরি চলে যাওয়া নিয়েও কথা হয়। সেই অসুস্থতার খবর পেয়েই মহিলা কর্মী তার বাড়িতে চলে আসে। পুলিস তলব করে দিলীপের পরিবারের লোককে। তারা এসে দেহ জলপাইগুড়ি নিয়ে যায়।