নাইসেডের রিপোর্ট পৌঁছয়নি, NRS-এর মর্গেই পড়ে রইল করোনা সন্দেহভাজনের দেহ
রিপোর্ট নাইসেডের থেকে এসে না পৌঁছানোয় মৃতদেহ পড়ে রইল হাসপাতালের মর্গে। মৃতদেহ মর্গের মধ্যে রেখে দেয়া হবে নাকি পরিবার হাতে তুলে দেওয়া হবে? রিপোর্ট না পাওয়ায় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না এন আর এস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝুলে রইল মৃতদেহের অধিকার। আটকে রইল শেষকৃত্যের প্রস্তুতিও। এনআরএসে মৃত মহিলা নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কিনা, সেই রিপোর্ট নাইসেডের থেকে এসে না পৌঁছানোয় মৃতদেহ পড়ে রইল হাসপাতালের মর্গে। মৃতদেহ মর্গের মধ্যে রেখে দেয়া হবে নাকি পরিবার হাতে তুলে দেওয়া হবে? রিপোর্ট না পাওয়ায় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না এন আর এস।
সোমবার করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি মহিলার মৃত্যু। গতকাল রাতে জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। উত্তর ২৪ পরগনা ধর্মপুকুরের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী এই মহিলা। তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। তার নমুনা পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটা নাইসেডে। আজ বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে এই মহিলার।
এই মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন এনআরএস হাসপাতালে। এরপর নাইসেডে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আজই সেই রিপোর্ট আসার কথা। তবে তার আগেই দুপুরে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। রিপোর্ট এসো না পৌঁছানো পর্যন্ত দেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছেন এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এখনও এসে পৌঁছয়নি রিপোর্ট। এন আর এস হাসপাতাল সূত্রে খবর, নমুনা পৌঁছাতে দেরি হয়। এদিন সেই নমুনার কোনও পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তা মঙ্গলবার করা হবে। রিপোর্ট দিলে তবেই মৃতদেহ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, হু-এর গাইডলাইন মেনেই মৃতদেহকে বিশেষ কেমিক্যাল মাখিয়ে প্লাস্টিক প্যাকেটের মধ্যে ঢুকিয়ে মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে যে গাইডলাইন আছে তা মেনে শেষকৃত্য করবে সরকার। রিপোর্ট নেগেটিভ হয়, তাহলে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এখন সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় এন আর এস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মৃতের পরিবার।