মানবিক! বেতনের টাকা দিয়ে ১৪০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন রেঞ্জ অফিসার

এই সমস্ত অসহায় পরিবারগুলিকে গত ৫ দিন ধরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন বনদপ্তরের টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত। এই মানবিক কাজে দু হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন অসহায় পরিবারগুলি, স্বাভাবিকভাবেই খুশি তাঁরা।  

Updated By: Mar 30, 2020, 09:55 PM IST
মানবিক! বেতনের টাকা দিয়ে ১৪০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন রেঞ্জ অফিসার

নিজস্ব প্রতিবেদন: বনাধিকারিকের মানবিক মুখ। বেতনের টাকা দিয়ে লাগাতার ৫ দিন ধরে ১৪০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত। লকডাউনের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বৈকন্ঠপুরের জঙ্গল ও বনবস্তি এলাকার প্রচুর মানুষ। এই সমস্ত অসহায় পরিবারগুলিকে গত ৫ দিন ধরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন বনদপ্তরের টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত। এই মানবিক কাজে দু হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন অসহায় পরিবারগুলি, স্বাভাবিকভাবেই খুশি তাঁরা।  

এর আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে প্রচুর অসহায় মানুষের মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সাহায্য করে বিয়ে দেওয়া, কারো আবার পড়াশুনার খরচ, কারো আবার চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন সঞ্জয় দত্ত। এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত লকডাউনের সময়ে নিজের মাস মাইনের টাকার পাশাপাশি লোকের কাছে ঋন, দোকান থেকে বাকিতে সামগ্রী নিয়ে চা বাগান ও জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকার ১৪০০ অসহায় পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বনকর্মী ও বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। 

গত ৫ দিন ধরে বেলাকোবা রেঞ্জ এলাকার পাশাপাশি সরস্বতী পুর সহ আরো অন্যান্য ক্ষুদ্র চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিক ও প্রচুর প্রতিবন্ধী পরিবারে এই খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছে দেন তিনি। সঞ্জয় দত্ত জানান, তার রেঞ্জ এলাকা থেকে তার কাছে ক্রমাগত সাহায্যের আবেদন আসতে থাকে। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজের বেতনের টাকা থেকে এই সাহায্যের কাজ করবেন। কিন্তু তালিকা তৈরী করতে গিয়ে দেখেন ২০০০ এর বেশি অসহায় পরিবার আছে। 

এরপর তিনি দোকান থেকে বাকীতে সামগ্রী নেবার পাশাপাশি তার পরিচিত কিছু মানুষজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে বাজার থেকে সামগ্রী কিনে পরিবার পিছু ১০ কিলো চাল, ৫০০ গ্রাম মুসুর ডাল, ২ কিলো আলু, ৫০০ গ্রাম করে সোয়াবিন দিলেন। তিনি আরও জানান বনসুরক্ষা কমিটির কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন কিন্তু এখনও তা পাননি। সরকারি ডিউটির পাশাপাশি নিজের জমানো টাকা খরচ করে এই কাজ তিনি করছেন। ঘটনায় ধীরেন রায় নামে এক কর্মহীন দিনমজুর জানান, এই খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুব উপকার হল। কয়েকদিন খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারব।

Tags:
.