পণের জন্য অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে চরম নির্যাতন শ্বশুরবাড়ির, দেড় বছর পর...
অভিযোগ, কথামতো পণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দিতে না পারায় অর্পিতার উপর বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার চলত। কখনও ৫০ হাজার টাকা, কখনও ২০ হাজার টাকা। চাপ দিয়ে টাকা আদায় করত তারা।
দিব্যেন্দু সরকার: অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিস ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। অপর অভিযুক্ত জা পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে পুরশুড়া থানার চিলাডাঙি গ্রাম পঞ্চায়েতের সানাপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে খানাকুলের বালিপুরের পান্থহরি গ্রামের বাসিন্দা অর্পিতা দোলুইয়ের বিয়ে হয় চিলাডাঙির বাসিন্দা শ্রীদাম সানার সঙ্গে। অভিযোগ, কথামতো পণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দিতে না পারায় অর্পিতার উপর বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার চলত। শারীরিক ও মানসিকভাবে অবিরত অত্যাচার করা হত তার ওপরে। বার বার একটাই কথা বলা হত। পণের টাকা এখনই নিয়ে আসতে হবে। কখনও ৫০ হাজার টাকা, কখনও ২০ হাজার টাকা। চাপ দিয়ে টাকা আদায় করত তারা।
এমনকি শরীর খারাপ হলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলত, বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এলে তবে ডাক্তার দেখানো হবে। কিন্তু অর্পিতার বাপের বাড়ি অত্যন্ত গরিব। তাই তাঁরা বলেছিলেন, সময় মতো ঠিক দিয়ে দেবেন। কিন্তু তারপরেও অর্পিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা মানতে চায়নি। এখনই টাকা দিতে হবে বলে জোরজবরদস্তি করতে থাকে। অর্পিতা শুক্রবার ফোনে এই অশান্তির কথা বাপেরবাড়িতে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর আত্মহত্যার কথা জানানো হয়।
অর্পিতার বাপেরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অর্পিতার বাপেরবাড়ির লোকজনের দাবি, তাদের মেয়েকে যারা খুন করেছে, তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।
আরও পড়ুন, Tapas Saha: 'তৃণমূলের একাংশ-ই ষড়যন্ত্র করছে, ২ যুবনেতার নাম বলতে চাপ দিচ্ছে!' জল চোখে বিস্ফোরক তাপস