Panchayat Election 2023: শেষ লগ্নে এসে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলে, বাদ বহু পুরনো মুখ
গত পাঁচ হুগলি জেলা পরিষদের যারা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তাদের অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সঞ্জয় দাস, যিনি বিদায়ী বোর্ডের বিদ্যুৎ দফতরে কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। মানিক দাস ছিলেন বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ, গোপাল রায় ছিলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। মিজানূর রহমান মৎস ও প্রার্নী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন, প্রতিমা হাঁসদা ছিলেন নারী ও শিশু কল্যাণ ত্রান দফতরের কর্মাধ্যক্ষ।
বিধান সরকার: মনোনয়ন জমা দেবার শেষ দিনের শেষ লগ্নে এসে জেলা পরিষদের প্রার্থী চূড়ান্ত করল তৃণমূল। প্রার্থী তালিকায় বেশিরভাগই নতুন মুখ। বাদ পরলেন একাধিক কর্মাধ্যক্ষ। প্রার্থী হলেন তিন প্রাক্তন বিধায়ক।
গত পাঁচ হুগলি জেলা পরিষদের যারা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তাদের অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সঞ্জয় দাস, যিনি বিদায়ী বোর্ডের বিদ্যুৎ দফতরে কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। মানিক দাস ছিলেন বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ, গোপাল রায় ছিলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। মিজানূর রহমান মৎস ও প্রার্নী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন, প্রতিমা হাঁসদা ছিলেন নারী ও শিশু কল্যাণ ত্রান দফতরের কর্মাধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: Chopra Firing: চোপরায় মনোনয়নে বাধা; বাম-কংগ্রেসের মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজন
পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন মুখকে প্রার্থী করা হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য হল তিনজন প্রাক্তন বিধায়ককে জেলা পরিষদের প্রার্থী করা হয়েছে। তারা হলেন বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাজি, গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানষ মজুমদার, আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। তাদেরকে টিকিট দিয়েছে দল। জেলা পরিষদের বিদায়ী বোর্ডের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান যদিও টিকিট পেয়েছেন খানাকুল থেকে।
গতবার তারকেশ্বরে আসন থেকে লড়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিকান্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। যদিও এখন তিনি জেল হেফাজতেই রয়েছেন। সেই জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে দেবীপ্রসাদ রক্ষিতকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে দোলাচল ছিল টিকিট নিয়ে। শেষ দিনের শেষ মুহূর্তে এসে সেই তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, গতকাল হুগলি জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন। বৃহস্পতিবারও তিনি রয়েছেন হুগলিতে।
আরও পড়ুন: Purulia: রেল রোকো কর্মসূচি থেকে সরে এল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের কেন্দ্রীয় কমিটি...
শ্রীরামপুরে মহকুমার শাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। সেখানে যান শান্তনু সেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন। তিনি জানান, ‘২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস মনোনয়নের প্রথম পর্বে জমা দিয়েছে দশ হাজার মনোনয়ন। সেখানে বিরোধীরা সম্মিলিত ভাবে ৮০ হাজার মনোনয়ন জমা দিয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি জমা দিয়েছে ৩৭ হাজারের কিছু বেশি, সিপিএম ৩০ হাজারের কিছু বেশি ও কংগ্রেস জমা দিয়েছে ৭ হাজারের কিছু বেশি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস সারা বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে থাকে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে থাকে তাই মানুষও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকবে। তাই এই নিয়ে কোন বিতর্কের জায়গা নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ১০০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন জমা দেবে গণতান্ত্রিকভাবে’।
তিনি আরও বলেন, 'গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছিলেন তিনি ৮২ সাল থেকে পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত এমনকি তিনি পঞ্চায়েতের সদস্যও থেকেছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি জীবনে কোনদিন দেখেননি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা এত শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন'।