Nandigram-এ Suvendu-র অফিসে ভাঙচুর, কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচলেন কর্মীরা
ঘটনায় অভিযোগে তির তৃণমূলের দিকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের ময়দানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নন তৃণমূল তথা তৃণমূলনেত্রীকে। নন্দীগ্রামে (Nandigram) সভা করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অফিসে ভাঙচুর চালাল দুষ্কৃতীরা। আসবাবপত্র ও বাইক ফেলে দেওয়া হল পুকুরে। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচলেন অফিসের কর্মীরা। ঘটনায় অভিযোগে তির তৃণমূলের (TMC) দিকে।
উল্লেখ্য, বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর শুক্রবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রথম জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সংক্ষিপ্ত ভাষণে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ঢিল ছুঁড়ে সভা ভণ্ডুলের চেষ্টার অভিযোগ করেন তিনি। সিপিএম-র (CPM) সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, 'সিপিআইএম কোনওদিন তৃণমূলের কোনও সভায় ঢুকে ঢিল মারেনি। কোনওদিন দেখিনি।' তৃণমূল সূত্রে খবর, ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালি বাজারে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নন্দীগ্রামের সভা থেকে ১৯ জানুয়ারি খেজুরিতে পাল্টা জনসভা করার কথা ঘোষণা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, '১৮ তারিখের সভায় মমতা যা বলবেন, ১৯ তারিখ তার উত্তর দেবে।'
আরও পড়ুন: জিতেন্দ্র অতীত, Asansol পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর নয়া চেয়ারম্যান অমরনাথ
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি শহিদ দিবসে নন্দীগ্রামে (Nandigram) সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। আর তারপরই ৮ তারিখ অর্থাৎ গতকাল, নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তার জবাব দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বলেছিলেন, "৭-এ আসুন। ভাষণ দিন। আমি জানি, আপনি কী বলবেন। ৮ তারিখে আমি আপনাকে জবাব দেব।' কিন্তু বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রামে ৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর সভাটি স্থগিত হয়ে যায়। তবে পূর্ব ঘোষণা মতোই শুক্রবার নন্দীগ্রামে সভা করেন শুভেন্দু। সেই সভার পরই তাঁর অফিসের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল।