'নো রোড নো ভোট', ডুয়ার্সের চা-বাগানে স্লোগান তুলল TMC চা শ্রমিক ইউনিয়ন
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর চা বাগানের প্রবেশ পথ থেকে বেতগুড়ির সীমানা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ চা-বাগানের প্রধান যাতায়াতের রাস্তাটি এখনও কাচা-ই রয়ে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিধানসভা ভোট সমাগত প্রায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা। আর কিছুদিনের মধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্টও ঘোষণা হয়ে যাবে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এদিকে ভোটের প্রাক্কালে ডুয়ার্সের চা বাগানে স্লোগান উঠল "নো রোড নো ভোট"। মাল ব্লকের নিউ গ্লেনকো চা-বাগানে এই স্লোগান তুলে এদিন জাতীয় সড়ক পর্যন্ত মিছিল করল শাসকদল প্রভাবিত সংগঠন "তৃণমূল কংগ্রেস চা মজদুর ইউনিয়ন" ও আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সদস্য ওই বাগানের শ্রমিকরা।
জানা গিয়েছে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ওভারব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় নিউ গ্লেনকো চা বাগানের প্রবেশ পথ। সেখান থেকে বেতগুড়ির সীমানা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ চা-বাগানের প্রধান যাতায়াতের রাস্তাটি এখনও কাচা-ই রয়ে গিয়েছে। বহু আশ্বাসের পরেও রাস্তাটি পাকা হয়নি। এরফলে চা-শ্রমিকদের যাতায়াতে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। আর তাতেই ক্ষুব্ধ চা-শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে রাস্তা পাকা না হওয়া পর্যন্ত এই চা-বাগানে কোনও ভোট নেই। বাগান শ্রমিক জাস্টিন কেরকেট্টা বলেন, "আমরা বহুদিন ধরে শুনে আসছি যে আমাদের এই রাস্তা পাকা হবে। এর আগে বহুবার বহু প্রতিশ্রুতি অনেকে দিয়েছে। কিন্তু আশপাশের চা-বাগানের রাস্তা পাকা হলেও আমাদের এই প্রধান রাস্তাটি এখনও পাকা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার দাবিতে মিছিল করছি। আগে রাস্তা হবে, পরে ভোট দেব।" সাফ কথা তাঁর।
নিউ গ্লেনকো চা-বাগানটি রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত। এপ্রসঙ্গে রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক চিকবরাইক বলেন, "আমাদের এই গ্রাম পঞ্চায়েতের সব চা-বাগানের রাস্তা পাকা হয়েছে। শুধু ওই চা-বাগানের রাস্তাটি পাকা হয়নি। এজন্য বিধায়ক নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। কিছুদিন আগে এখানে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন এসেছিলেন। আমরা তাঁর কাছে ওই রাস্তার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত রাস্তা হয়।"
অন্য়দিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মালের বিডিও বিমানচন্দ্র দাস জানান, "এজাতীয় কোনও দাবি জানিয়ে লিখিত আকারে আসেনি। তবে শুনেছি। আমরা ওখানে রাস্তার পরিস্থিতি দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সব জায়গায় যখন রাস্তা হচ্ছে তখন ওখানেও হবে। তবে বলব, রাস্তার সাথে ভোটের বিষয় মিলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। ভোট একটা গণতান্ত্রিক অধিকার। সবার প্রয়োগ করা উচিত। আমরা ওখানে গিয়ে মানুষদের বোঝাব।"
আরও পড়ুন, ৬৬ বছরের বুড়ো সেতু এখনও কতটা 'জওয়ান' আছে? স্বাস্থ্যপরীক্ষায় বন্ধ যান চলাচল