এক দশকের পুরনো মামলায় ফের তলব ছত্রধর মাহাতকে, এই সপ্তাহেই তৃতীয়বার জেরা করবে NIA
দীর্ঘ কারাবাস কাটিয়ে ফেরার পরই ফের সক্রিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন ছত্রধর মাহাতো। সরাসরি তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের ছত্রধর মাহাতকে তলব করল NIA। এই নিয়ে তৃতীয়বার ছত্রধর মাহাতকে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, এর আগে দু-দুবার ছত্রধর মাহাতকে জেরা করেছে NIA। ২৫ ও ২৬ অগাস্ট তাঁকে জেরা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার এই সপ্তাহে ফের তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য জেরা করা হবে।
প্রসঙ্গত, এক দশকের বেশি পুরনো বেশ কতগুলি মামলায় ছত্রধর মাহাতর নাম রয়েছে। সেগুলি নিয়েই ফের ছত্রধর মাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে NIA। উল্লেখ্য, ২০০৯-এর ১৪ জুন লালগড়ের ধরমপুরে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাত খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় ছত্রধর মাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর ওই বছরই রাজধানী ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। ২০০৯-এর শেষেরদিকে দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী হাইজ্যাকের ঘটনাতেও ছত্রধর মাহাতর নাম উঠে আসে। এছাড়া পিপলস কমিটি এগেইনস্ট পোলিস অ্যাট্রোসিটিস-এর সক্রিয় সদস্যও ছিলেন ছত্রধর মাহাত। এই সব নিয়েই ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে NIA সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, জঙ্গলমহলের একদা নায়ক ছত্রধর মাহাতো দীর্ঘ কারাবাস কাটিয়ে ফেরার পরই ফের সক্রিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। সরাসরি তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য কমিটিকে এনে ঝাড়গ্রামে ফের বাজিমাত করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলছুট কুর্মি সম্প্রদায়কে আবার নিজের দিকে টানার জন্যই ছত্রধর মাহাতকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতেই NIA-এর জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দেখছেন ছত্রধর মাহাত। শালবনি কোবরা ট্রেনিং ক্যাম্পে ২ দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি বলেন, "সম্প্রতি মূলস্রোতে ফিরেছি। রাজনীতিতে ফিরেছি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বড় দায়িত্বও পেয়েছি। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার তরফে আমার উপর এই চাপ তৈরি করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন, বাড়ির ভিতর গোপন সুড়ঙ্গে মজুত থাকত বোমা, ফোনে মিলল ২২ সদস্যের 'জঙ্গি নেটওয়ার্ক'!
৪ জঙ্গির অ্যাকাউন্টে মিলল মোটা টাকা! গ্রেফতারির আগে কাকে ফোন করে আবু সুফিয়ান?
মাদ্রাসার আড়ালে আল-কায়দায় নিয়োগ, জঙ্গি সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ!