Kaliyaganj: তপ্ত কালিয়াগঞ্জে ফের উদ্ধার দেহ! নতুন করে চাঞ্চল্য, বন্ধ ইন্টারনেট
Body found in Kaliyaganj: রাস্তায় পড়ে রয়েছে গুলির খোল। পুলিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এলাকাবাসী। 'পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু যুবকের।' দাবি বিজেপির। 'এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে।' পালটা অভিযোগ তৃণমূলের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কালিয়াগঞ্জে নতুন করে চাঞ্চল্য। উদ্ধার গুলিবিদ্ধ দেহ। যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ আসে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। সূত্রের খবর, গতরাতে কালিয়াগঞ্জের গ্রামে অভিযানে যায় পুলিস। তাতেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, গুলি চালায় পুলিস। যদিও কে গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। পুলিসের তরফ থেকে সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
সব মিলিয়ে কালিয়াগঞ্জে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। থমথমে গোটা এলাকা। রাস্তায় পড়ে রয়েছে গুলির খোল। পুলিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে কালিয়াগঞ্জে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতেই সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, আগেই কালিয়াগঞ্জের ৪টি ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ৪, ৫, ৬ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এদিকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতেই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 'কালিয়াগঞ্জে বিজেপি নেতার ছেলেকে হত্যা করেছে পুলিস। দায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।' টুইট বিরোধী দলনেতার। প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও। তাঁর দাবি, 'পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু যুবকের।' ওদিকে পালটা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে আবার তৃণমূল। শাসকদলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, 'কালিয়াগঞ্জে বিজেপি তাণ্ডব চালিয়েছে। এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার। তদন্তের আওতায় আনা হোক শুভেন্দুকেও।'
প্রসঙ্গত, নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে কালিয়াগঞ্জ। মঙ্গলবার বিকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। থানায় চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করে। থানার পাঁচিল ভেঙে, থানা চত্বরে আগুন দিয়ে তোলপাড় করে জনতা। এমনকি থানার ভিতরেও আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিসের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। বারবার পুলিস আন্দোলনকারীদের দিকে তেড়ে গেলেও জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে হিমসিম খেয়ে যায় পুলিস। ব্যারিকেড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় জনতা। বৃষ্টির মতো ইট এসে পড়তে থাকে পুলিসের উপরে। শেষে লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, স্টান গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
এমনকি কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে ভাইরাল হয়েছে দুটি ভিডিয়োও। একটি ঘরে পুলিসকর্মীদের নির্মম মারধর ও হাতজোড় করে সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রাণভিক্ষার ছবি ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জেরে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন পুলিসকর্মীরা। সেই বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয় পুলিসকর্মীদের। আরও একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে নির্মমভাবে মারধর করা হচ্ছে। আর সে হাতজোড় করে প্রাণভিক্ষা করছে।