ঘরে চাদর ঢাকা মায়ের লাশ, পাশেই শুয়ে অচেতন ছেলে! গন্ধ খুঁজে দরজা খুলতেই বীভৎস দৃশ্য...
বন্ধ বাড়ির ভিতর থেকে গন্ধ পায় এলাকাবাসীরা। পুলিসকে খবর দিলে পুলিস বাড়ির সামনের দরজায় তালা ঝোলানো ও জানলা বন্ধ দেখে দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দরজা জানলা বন্ধ। সেই অবস্থায় বাড়ির ভিতর থেকে বের হচ্ছে গন্ধ। গন্ধের উত্স খুঁজতে গিয়ে সামনে এল বীভত্স দৃশ্য। মায়ের মৃতদেহর পাশ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হল ছেলেকে। এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় পুলিস অচৈতন্য ছেলের জ্ঞান ফিরিয়ে আনে। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি, মায়ের দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এই রহস্যজনক ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকার ইস্পাত নগরীর এজোন ট্রাঙ্ক রোডের একটি আবাসন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সেই বন্ধ বাড়ির ভিতর থেকে গন্ধ পায় এলাকাবাসীরা। পুলিসকে খবর দিলে পুলিস বাড়ির সামনের দরজায় তালা ঝোলানো ও জানলা বন্ধ দেখে দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে মায়ের দেহ চাদর ঢাকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পাশে ছেলে শুয়ে অচৈতন্য অবস্থায়।
ছেলে রজত চক্রবর্তীর শরীর তখনও গরম দেখে, তাকে বাইরে তুলে এনে পুলিস জল দিলে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওদিকে বাড়ির ভিতর ফ্যানের হুকে একটি কাপড়ও ঝুলতে দেখা যায়। তা থেকে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। জানা গিয়েছে, ছেলে রজত চক্রবর্তী শেয়ারের ব্যবসা করেন। তবে মা অনন্যা চক্রবর্তীর সঙ্গে বাড়ি বিক্রি নিয়ে একটা সমস্যা চলছিল ছেলের। এমনটাই জানিয়েছেন রজতের পিসেমশাই।
তিনি আরও এটাও বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল রজত। তবে কী কারণে এই মৃত্যু সেটা নিয়েই ধোঁয়াশা। আত্মহত্যা না খুন? ৬২ বছরের অনন্যা চক্রবর্তীর দেহ ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, এলাকায় বেশি কথা বলতেন না এই পরিবার।
আরও পড়ুন, কাস্তে-কুঠারের কোপে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ কাটে স্বামী, তারপরের ঘটনা আরও ভয়াবহ!