‘ট্যাবলেট খাইয়ে’ বীরভূম দখল অনুব্রত মণ্ডলের
তৃণমূল কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূম দখল করতে চলেছে। গণতন্ত্রে এই জয় কতটা যথার্থ অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “৩৪ বছরের ধরে মানুষ উন্নয়ন পায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের ৪২-র মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪১টি জেলপরিষদ দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয় শুরু করল শাসক দল। শুধুই জেলাপরিষদ নয়, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেকটাই তৃণমূলের পকেটে চলে এসেছে বলে সূত্রে খবর। নির্বাচন হওয়ার আগেই এত বড় জয় দলের, এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বীরভূমের জেলা সভাপতির সাফ উত্তর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই এই জয় এনে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ যাচ্ছে উন্নয়ন দেখছে। তা আমি কী করব?”
আরও পড়ুন- সংঘাত! কমিশনের চাহিদা মেনে পর্যবেক্ষক দিল না রাজ্য
প্রথম থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দিচ্ছে শাসকদল। বিরোধীদের দাবি, মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারায় এই জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে, বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে অনুব্রত বলেন, “ও পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়। আমি তো বলেছিলাম সকাল থেকে সিউড়ি পার্টি অফিসে বসবো। কেউ যদি ফাইল করতে না পারে আমি করিয়ে দেব। কেন এলো না?”
আরও পড়ুন- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূম দখলের পথে তৃণমূল!
তৃণমূল কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূম দখল করতে চলেছে। গণতন্ত্রে এই জয় কতটা যথার্থ অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “৩৪ বছরের ধরে মানুষ উন্নয়ন পায়নি। কিন্তু আজ যে কোনও বাড়িতে গেলে দেখতে পাবেন কেউ পেয়েছে জুতো, কেউ পেয়েছে সাইকেল, কেউ পেয়েছে কন্যাশ্রী, কেউ পেয়েছে খাদ্যসাথী, কী পাইনি?”
আরও পড়ুন- হস্তক্ষেপ না করলেও, কমিশনকে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা স্মরণ করালো শীর্ষ আদালত
তবে, বীরভূমের এই সার্বিক জয়ের সাফাল্য কোথায়? অনুব্রতর বলেন, বহু ধরনের ট্যাবলেট আছে। এখন তো আয়ুর্বেদিক যুগ। যেমন ট্যাবলেট দেব তেমন কাজ করবে।” কিন্তু কী ধরনের ট্যাবলেট দেন অনুব্রত? সেটাই রহস্যে রাখলেন তিনি। পাখির চোখ লোকসভা করে ওই ট্যাবলেটেই রোগ সারাতে চান বীরভূমের কেষ্ট।