ফণি আতঙ্কে কাটছাঁট মমতার নির্বাচনী প্রচার, বিপর্যয় মোকাবিলায় আটসাঁট ব্যবস্থা

কালীঘাটের বাড়িতেই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

Updated By: May 1, 2019, 06:22 PM IST
ফণি আতঙ্কে কাটছাঁট মমতার নির্বাচনী প্রচার, বিপর্যয় মোকাবিলায় আটসাঁট ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদন : চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই রাজ্যে ফণির প্রভাব শুরু হয়ে যাবে। ৩ ও ৪ তারিখ চলবে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি। আর তার জেরে এবার কাটছাঁট করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারসূচিও।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, 'আয়লা'র মতোই শক্তিশালী হবে ফণি। গাছ উপড়ে পড়তে পারে। ভেঙে পড়তে পারে কাঁচাবাড়ি। ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূল খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূল থেকে দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে পর্যটকদের।

এই পরিস্থিতিতে আজ ফণির গতিপ্রকৃতি ও বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কালীঘাটের বাড়িতেই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থা নিয়ে আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি, কাটছাঁট করা হয় তৃণমূল নেত্রীর প্রচার কর্মসূচিও। বৃহস্পতিবার ৩টে সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই সভার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। নির্দিষ্ট ৩টে সভা সেরেই খড়গপুর চলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে ঠিক ছিল ৩ তারিখ কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চন্দ্রকোণার সভায় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দুর্যোগের জন্য হেলিকপ্টার ওড়া সম্ভব হবে না শুক্রবার। তাই কাল-ই খড়গপুরে চলে যাবেন তিনি।

এদিন রাজ‍্যের উপকুলবর্তী জেলার জেলাশাসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান সচিব দুষ্মন্ত নাড়িওয়াল। নবান্ন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‍্যমে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় জেলাশাসকদের। মূলত দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৃহস্পতিবার ফের মুখ‍্যসচিব বৈঠক করবেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬টি দল।

আরও পড়ুন, 'আয়লা'র মতোই শক্তিশালী 'ফণি'! বিপদ থেকে বাঁচতে কড়া নির্দেশিকা আবহাওয়া দফতরের

এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার তরফে আবাসন, নিকাশি, বিদ্যুত দফতরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি বরোতে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। পুরসভায় খোলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানো হবে। গাছ পড়ার খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

.