ভার্চুয়াল সভায় বিজেপি পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সাংবাদিকদের ডেকে সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখান মুখ্যমন্ত্রী।
নির্বাচন কমিশন: করোনা আবহে রাজনৈতিক সভায় না নির্বাচন কমিশনের। এরপর থেকে ভার্চুয়ালে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজনৈতিক মহল। আজ শনিবার বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও জেলার ১১ প্রার্থীকে নিয়ে ভার্চুয়াল সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বৈঠকে তিনি করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন। বলা যায়, বীরভূমের ভার্চুয়াল সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, কমিশনের কাছে কোনও বিচার আমরা পাচ্ছি না। বিজেপি-র কথা উঠছে বসছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির কথাতে ভোট করাচ্ছে ওরা। আমি বলেছিলাম বাকি দুটো দফা একসঙ্গে করে নির্বাচন প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে দিন। করোনা পরিস্থিতি খুব খারাপ। কিন্তু, বিজেপি-র কথা শুনে ৮ দফায় নির্বাচন করছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরও বলেন, বাইরে থেকে লক্ষ লক্ষ লোক এনেছে। বাংলায় এই মুহূর্তে রয়েছে ২ লক্ষের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওরা আজ দু মাস ধরে বাংলায় রয়েছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের জন্য আরও করোনা ছড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কারও কোভিড টেস্ট করা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, শুধু বিজেপি-কে বাংলা দখল করানোর জন্য কমিশন এখানে এত দফায় ভোট করালো। আমি জানি কার নির্দেশে ঠিক কী ঘটছে। সব খবর পাই আমি। বিজেপি এমন করছে যেন জিতে গিয়েছে। কমিশেন থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আমার দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করা হোক। আমার কাছে সব কিছুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। প্রসঙ্গত, সাংবাদিকদের ডেকে সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখান মুখ্যমন্ত্রী। বোলপুরের ভার্চুয়াল প্রচার সভা থেকে সাফ জানালেন, ‘ভোটের পরই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাব।’
তিনি আরও বলেন, ' ডিএম, এসপি-রাও তাঁবেদারি করছে বিজেপির। এখন কিছু বলব না, যা বলার ভোটের পর বলব। ৭০ টা সিটও পাবে না বিজেপি'।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ' আমরা শিল্পের কাজে ব্যবহার হওয়া অক্সিজেন রোগীদের কাজে ব্যবহার করব। আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করছি টিকার দাম এক রাখুন। সমস্ত নাইট্রোজেন ও অন্যান্য ট্র্যাঙ্কার গুলোকে অক্সিজেন লোডিং করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে'।