Mamata Banerjee: ডুয়ার্সের ৬টি চা-বাগান অধিগ্রহণ করছে রাজ্য সরকার, বানারহাটে ঘোষণা মমতার
" বন্ধ চা বাগান সব আমরা খুলব। শ্রমিকদের কোনও চিন্তা নেই।"
নারায়ণ সিংহ রায়: "ডুয়ার্সের বন্ধ ৬টি বাগান আমরা নিয়ে নিচ্ছি। উত্তরবঙ্গে আগে কিছুই ছিল না। এখন সব করে দিয়েছি", বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ির বানারহাট থেকে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক পরিষেবার সুবিধা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "১১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন হল এই মঞ্চ থেকে। ৬৯ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস হল। ধূপগুড়ির মানুষের কাছে বলেছিলাম, ধূপগুড়ি সাব ডিভিশন আমরা করব। পশ্চিম্বঙ্গ সরকার থেকে এটা করে দিয়েছি কিন্তু কোর্টে বাকিটা পড়ে রয়েছে। আমরা একাধিক উন্নয়নের কাজ করেছি এই জেলায়। একাধিক নতুন ব্লক তৈরি হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। নতুন বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে৷ বাংলাদেশ ভূটান এশিয়ান হাইওয়ে তৈরি হয়েছে৷ দেবী চৌধুরানীর মন্দির তৈরি হয়েছে। ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের পানীয় জলের সমস্যা মেটানো আমার লক্ষ৷ আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।" এদিন বানারহাটে নতুন ফায়ার স্টেশন তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যসচিবকে।
মমতা আরও বলেন,"এই মঞ্চ থেকে ২৬ হাজার মানুষকে বেনিফিট দেওয়া হচ্ছে৷ ১৩ হাজার পাট্টা দিয়েছি সব মিলিয়ে। উদবাস্তুরাও জমির পাট্টা পাবেন। বন্ধ চা বাগান সব আমরা খুলব। শ্রমিকদের কোনও চিন্তা নেই। ১ হাজার ৬৯৯ টা ফ্রি হোল্ড রাইটস দিচ্ছি। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা রাজ্য সরকার দেবে। পাট্টার দেওয়া জমিতে ঘর বানানোর জন্য৷ সেখানে হোমস্টে থেকে কিচেন গার্ডেন করতে পারেন। নির্বাচনের আগে থেকে ফ্রি রেশনের কথা বলেছিলাম সেটা দিচ্ছি।" বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, "কোথায় গেলে ১৫ লক্ষ টাকা? চা বাগান অধিগ্রহণ করবে বলেছিল৷ কোথায় গেল সেগুলো? কথা দিয়ে আমি কথা রাখি৷ সব ধর্ম সব বর্ণের জন্য আমরা কাজ করছি। জলপাইগুড়ি জেলায় একদিকে বাগান। অন্যদিকে অরণ্য৷ পর্যটনে উত্তরবঙ্গে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আবার দুয়ারে সরকার হবে৷ পরিবারের কোন এক জনেরও জন্য যদি আদিবাসী সার্টিফিকেট থাকে, তবে সেও পাবে৷ কেউ ভুয়ো সার্টিফিকেট বানালে আমাদের জানান, তার সংশোধন হবে৷" মুখ্যমন্ত্রী জানান, "অনুষ্ঠানে আমাকে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, সেগুলো আমরা রিভিউ করছি। আগামীকাল শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা কৃষক বন্ধুদের আমরা চেক মারফত পাঠাব৷"
মমতা আশ্বাস দেন, "আমরা সব কিছুতেই আপনাদের পাশে আছি। কিন্তু কেউ টাকা দিয়ে আপনাদের ভোট কিনতে চাইলে মনে রাখবেন, সেটা আপনাদেরই টাকা। আমি যতদিন বেঁচে আছি কোনও ভেদাভেদ হবে না। আপনারাই আমাদের পরিবার৷ আরও ২৪ হাজার কোটি লগ্নি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। পর্যটনে আরও পসার বাড়বে৷ কারও কাছে মাথা নত করব না৷ একশো দিনের কাজ যারা করেছে তাদের ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে৷ তার জন্য আমি দিল্লি যাচ্ছি৷ কেন আমাদের মজদুররা টাকা পাবে না৷ জিএসটি-র টাকা সেন্ট্রাল নিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু আমাদের টাকা-ই আমাদের দিচ্ছে না৷ সেন্ট্রাল আমার টাকা আটকালেও আমি কোনও প্রকল্পের টাকা আটকাইনি। নির্বাচনের আগে বলেছে, চাল দেবে৷ তাহলে করোনার পর কেন বন্ধ করে দিল৷ কিন্তু আমি থামব না। আগামীদিনে আরও অনেক কিছু হবে৷ আগে উত্তরবঙ্গে কিছুই ছিল না, এখন উত্তরবঙ্গ বলতে পারে আমাদের কাছে অনেককিছু আছে৷"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)