কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনা, বেশ কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে মারাত্মক জখম কোন্নগরের যুবক অভীক
শুক্রবার দুপুর দুটো নাগাদ, দুবাই থেকে ওড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। সাড়ে সাতটার পর দু'দুবার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কেবিন ক্রু অভীক বিশ্বাস। নিজে বেঁচেছেন বটে তবে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমান থেকে উদ্ধার করেছেন বেশ কয়েকজন যাত্রীকে। এখন নিজেও মারাত্মক জখম।
আরও পড়ুন-'অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন ক্য়াপ্টেন সাঠে, কোঝিকোড়ে আগেও অবতরণ করেছেন অন্তত ২৭ বার'
গত তিন বছরে কেবিন ক্রু হিসেবে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোয় কাজ করেছেন কোন্নগরের যুবক অভীক বিশ্বাস। গত বছর যোগ দেন এয়ার ইন্ডিয়ায়। গতকাল বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কোন্নগরে বিশ্বাস বাড়িতে আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে।
অভীকের বাবা অজয় বিশ্বাস জানান, টিভিতে গতকাল কোঝিকোড়ের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আতঙ্কগ্রহস্থ হয়ে পড়ি। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। পরে ছেলেই ফোন করে জানাল ভয়ঙ্কর ওই দুর্ঘটনার কথা। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে বলল। মায়ের সঙ্গেও ওর কথা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। ছেলে ভালো থাকার খবর পেয়ে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন-কোভিড হাসপাতালে চাকরিরত ডাক্তারকে কেন ঘরে রাখা হয়েছে, বেহালায় হেনস্থা চিকিত্সককে
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর দুটো নাগাদ, দুবাই থেকে ওড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। সাড়ে সাতটার পর দু'দুবার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের দরুন তিনবারের চেষ্টায় বিমানটি রানওয়েতে অবতরণ করে। তার পরেই সেটি পিছলে গিয়ে একটি গর্ত পার করে বিমানবন্দরের পাঁচিলে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি দুটুকরো হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিমানের ২ পাইলটের। এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৭৩ জন।