তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে তোলা চেয়ে সরকারি কাজ বন্ধ করানোর অভিযোগ!
”জলের পাইপ লাইন বসানোর সময় পঞ্চায়েত প্রধান ঠিকাদার সংস্থাকে কোনও সহযোগিতা করেননি বরং এক লাখ টাকা দাবি করেছেন। দাবি মত টাকা না দেওয়ার জন্য কাজ বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।“
নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি কাজে বাধা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির। এই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের ত্রিলকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত প্রধান সাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি(পি এইচ ই)দফতরের কাজ শুরু হয়েছে ত্রিলকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় একুশ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে জলের পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। প্রায় ৩ কোটি টাকার প্রকল্প। অভিযোগ, এই কাজের ঠিকাদার সংস্থার কাছে এক লাখ টাকা তোলা চান তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান।
এই প্রসঙ্গে পি এইচ ই-র আধিকারিক সুপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, ”জলের পাইপ লাইন বসানোর সময় পঞ্চায়েত প্রধান ঠিকাদার সংস্থাকে কোনও সহযোগিতা করেননি বরং এক লাখ টাকা দাবি করেছেন। দাবি মত টাকা না দেওয়ার জন্য কাজ বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।“ ঠিকাদার সংস্থার আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় টাকা লেনদেন নিয়ে তাঁর সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধানের মোবাইল ফোনে সমস্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ইতিমধ্যেই পি এইচ ই-র দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কেন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন, তাও লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সাহিনা বেগম অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য , “জলের পাইপ লাইনের কাজ করার সময় পঞ্চায়েতের উন্নয়নের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেগুলো যাতে করে দেয় সেই কথা-ই ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। আমি বিষয়টি প্রশাসনকে জানাব।“ সরকারি কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে, কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, পি এইচ ই দফতর থেকে লিখিতভাবে তা পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকেও জানানো হয়েছে। চিঠিপ্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জেলাশাসক জানিয়েছেন, ”একটা অভিযোগ পেয়েছি। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক ও কাঁকসার বিডিওকে দেখতে বলেছি। ঘটনার তদন্ত হবে।“
আরও পড়ুন, স্বপন ঘোষের দেহ নিয়ে শোকমিছিল, করোনা আতঙ্কে পানিহাটির বাসিন্দারা