Kolaghat: ৩০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা, রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ! ক্লাস বন্ধ করলেন অধ্যাপকরা
সরকারের তরফে মহার্ঘ ভাতা মেলে না। সেই ভাতা ৩০ শতাংশ হারে দেওয়া এবং একাধিক দাবিতে প্রায় একমাস ধরে পাঠদান বন্ধ রেখেছেন কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকরা। কলেজে গেলে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাঁরাই।
কিরণ মান্না: ৩০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা, নতুন গভর্নিং বডি গঠন এবং রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবি। এই তিন দফা দাবিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস নেওয়া বন্ধ রেখেছেন কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপকদের একাংশ। কলেজ চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীরা কলেজে গেলেও তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বলছেন অধ্যাপকরা স্বয়ং। আরও অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষেরও কোনও আবেদনে কর্ণপাত করেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন, Weather Bengal: কালীপুজোর আগে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি, কোন কোন জেলায় দুর্যোগের আশঙ্কা?
কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে বিদ্যাসাগর সোসাইটি ফর ইন্টিগ্রেটেড লার্নিং। ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ১৩০০-র বেশি। কলেজ ফি-ও মোটা অঙ্কের। অধ্যাপকরা গত এক মাস ধরে ক্লাস না করানোয় স্বভাবতই ক্ষোভ ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবদের মধ্যেও। ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর জানালেন, জট কাটাতে কলেজের চেয়ারম্যান এবং রাজ্যের বিদ্যুত্ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
সরকারের তরফে মহার্ঘ ভাতা মেলে না। সেই ভাতা ৩০ শতাংশ হারে দেওয়া এবং একাধিক দাবিতে প্রায় একমাস ধরে পাঠদান বন্ধ রেখেছেন কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকরা। কলেজে গেলে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাঁরাই। বহু চেষ্টাতেও শিক্ষকদের পাঠদানে রাজি কলেজ কর্তৃপক্ষ করাতে পারেননি। শেষমেশ অচলাবস্থা কাটাতে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী এই সোসাইটির চেয়ারম্যান। কলেজে ভর্তি হতে গেলে কলেজে বর্তমানে ১৩০০-এরও বেশি পড়ুয়াদের মোটা অঙ্কের বেতন দিতে হয়ে এই কলেজে। অপসারণ এবং কলেজের নতুন গভর্নিং বডি গঠনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক এবং ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় দুর্গাপূজার অর্থাৎ ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে পুজোর ১৫ দিন আগে থেকে পাঠদান বন্ধ করে দেন তাঁরা।
যে কয়েকজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছিলেন, সরকারের তাঁদেরও ক্লাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। পুজোর পরও সেই অচলাবস্থা জারি রয়েছে। কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর হলেন শৈবাল কুমার প্রধান বলেন, “মূলত তিনটি দাবি নিয়ে কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক ক্লাস বন্ধ রেখেছেন। ওঁদের বলেছিলাম পঠনপাঠন চালু রাখতে। কিন্তু তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়। কয়েকজন শিক্ষক ক্লাস নিতে চাইলেও বিক্ষুব্ধরা ক্লাস নিতে দিচ্ছেন না। এই কলেজ যে সোসাইটির মাধ্যমে পরিচালিত হয় পদাধিকার বলে সেই সোসাইটির চেয়ারম্যান বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আমি ওঁর দফতরেও আবেদন জানিয়েছি কলেজ সচল করার ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।"
আরও পড়ুন, Birbhum Accident: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে গেল বাস, আহত ৫০
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)