Katwa: সুদ না মেটানোয় সরকারি কর্মীকে দড়ি বেঁধে ফেলা হয় রেললাইনে, এবার ছেলেকে ক্রমাগত হুমকি
কাটোয়া আজিমগঞ্জ লাইনের কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশনের অম্বলগ্রামে রেল লাইনে রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় নামে ওই সরকারি কর্মীকে লাইনে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায় ২ জন
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: সুদের টাকা দিতে না পারায় কাটোয়ায় রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে রেললাইনে ফেলে রেখে যায় সুদের কারবারিরা। ওই ঘটনার ওই সরকারি কর্মীর একটি পা কাটা যায়। তিনি এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। এদিকে, তাঁর ছেলে সৌমিক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এখন তাকে ক্রমাগত ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যারা ওই হুমকি দিচ্ছে তারাই বাবাকে রেললাইনে ফেলে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন-সুদের টাকা না দেওয়াও দড়ি বেঁধে ফেলা হল রেললাইনে, সরকারী কর্মীর কাটা গেল পা!
কী অভিযোগ করেছেন সৌমিক? সংবাদমাধ্যমে সৌমিক জানিয়েছে, আমাকে ক্রমাগত ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাবার চিকিত্সার জন্য কলকাতায় রয়েছি। একজন আমাকে ফোন করে বলে কেতুগ্রাম থানায় আসতে। ওই কথা শোনার পর কেতুগ্রাম থানার আইসিকে ফোন করি। উনি বলেন, আমাকে ওখানে ডাকা হয়নি। বাবাকে যখন রেল লাইনের পাতের সঙ্গে বাঁধা হচ্ছিল তখন একজন বলেছিল আজ তোর ডান পা নেব, কাল তোর বাঁ পা, পরশু দিন তোর গলা। প্রশান্ত সাহা নামে এক ব্যক্তি এখন বারবার আমাকে বলছে তোর বাবা কেন আমার নাম নিল। এই আতঙ্ক থেকে আমাদের বাঁচান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন আমরা করছি।
কী হয়েছিল ২০ অক্টোবর? কাটোয়া আজিমগঞ্জ লাইনের কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশনের অম্বলগ্রামে রেল লাইনে রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় নামে ওই সরকারি কর্মীকে লাইনে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায় ২ জন। ওই দিন সন্ধেয় কাটোয়া থেকে শিবলুন গ্রামে ফিরছিলেন রুদ্রভৈরব। গ্রামে ঢোকার মুখে তার পথ আটকায় বাইক আরোহী ২ ব্যক্তি। তারা জোর করে তাকে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যায়। এরপর কিছু খাইয়ে তার হাত-পা বেঁধে রেললাইনে ফেলে রেখে চলে যায়। ওই লাইনে এসে পড়ে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেই পা কেটে যায় রুদ্রভৈরবের এমনটাই তিনি দাবি করেন।
রুদ্রভৈরবের অভিযোগ, তিনি তাঁর অফিসের এক সহকর্মীর বন্ধুর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধের পর তার সুদ বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা চাইছিল। এর জন্য গত কিছুদিন ধরে তারা প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে পারেননি তিনি। তার পরেই তাকে ধরে এনে রেল লাইনে ফেলে দেওয়া হয়।