এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কৈলাসের, পাল্টা TMC-র
রাজ্যে অশান্তির অভিযোগে বিজেপি-তৃণমূল তরজা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে এখন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রবিবার শান্তিনিকেতনে রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব এখন থেকে বাহিনী মোতায়েন করা হোক।' বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যে এখন থেকে বাহিনী মোতায়েন হলে আপত্তি নেই তবে সংবিধান মেনে কাজ করতে হবে, এমনটাই অভিমত সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের।
এ দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, 'বাংলায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর পায়ের তলা থেকে জমি সরে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন। আমার মনে হয়, বাংলার সংস্কৃতিতে আতঙ্ক বা ভয় বেমানান। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব। এও আর্জি করব, আতঙ্ক ও হিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে এখন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন।'
বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,'ঘুরে ঘুরে প্রলাপ বকছেন। প্ররোচনা দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। দুয়ারে সরকার ও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন বাংলার মানুষ। তা মসৃণভাবে চলুক তা চাইছে না বিজেপি। তাঁরা ঘুরে ঘুরে অশান্তি ছড়াচ্ছেন। সারা ভারত থেকে নেতা এনে এখানে অস্থিরতা তৈরি করছেন। উন্নয়ন থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। আমপান ও লকডাউনের সময় ত্রাণশিবিরে পাওয়া যায়নি এদের। এখন ক্ষমতার জন্য এসব করছেন। ডায়মন্ড হারবারের ইট-পাটকেল পড়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের গাড়িতে। যাঁরা দিলীপ ঘোষকে সরাতে তৎপর। পরিকল্পিত চিত্রনাট্যে কাজ করছে বিজেপি।'
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি নেই সিপিএমের। তবে নিরপেক্ষভাবে বাহিনীকে কাজ করতে হবে। সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের কথায়,'এত দেরিতে বুঝছেন কেন? আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ার। সংবিধান মেনে যাতে রাজ্য চলে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যের বাহিনী মমতার কথা শুনবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কৈলাস বিজয়র্গীয়র। এই অবস্থার অবসান চাই। বাহিনী মোতায়েন হতেই পারে। তবে সংবিধান মেনে চলতে হবে বাহিনীকে।'
ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা বিজেপির নাটক। পুলিসকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল, শনিবার হালিসহরে বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
আরও পড়ুন- 'কোন হরিদাস পাল?' চায়ে পে চর্চায় কল্যাণকে (Kalyan Banerjee) তীব্র আক্রমণ দিলীপের (Dilip Ghosh)