Joint BDO Suicide: কাজের চাপে মানসিক অবসাদ? আত্মঘাতী জয়েন্ট বিডিও
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ২ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও ছিলেন তিনি।
তথাগত চক্রবর্তী: অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিক অবসাদ? নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী জয়েন্ট বিডিও। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না! ঘটনাস্থল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পলাশ মণ্ডল। বাড়ি, জয় নগর থানার দক্ষিণ বারাসত এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও ছিলেন তিনি। স্ত্রী তখন বাড়িতে ছিলেন না। এদিন সকালে ঘর থেকে অসুস্থ অবস্থায় পলাশকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা। এরপর প্রথমে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে, তারপর বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বারইপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় গড়বেতায় জয়েন্ট বিডিও।
কীভাবে মৃত্যু? পরিবারের লোকেদের দাবি, কর্মসূত্রে বাড়ি বাইরে থাকতে হত পলাশকে। এমনকী, ছুটিও পেতেন না! বাড়িতে আসতেন তিন-চার সপ্তাহ অন্তর। দক্ষিণ বারাসতে তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন স্ত্রী। ছেলে মেয়েদের সময় দিতে পারতেন না ওই সরকারি আধিকারিক। সবসময় মনমরা হয়ে থাকতেন তিনি। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগে ছোট ছেলের ওপেন হার্ট সার্জারির পর রীতিমতো মানসিক চাপে ছিলেন পলাশ। সেকারণেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন জয়েন্ট বিডিও।
শুক্রবার রাতে বারাসতের বাড়িতে ফিরেছিলেন গড়বেতার জয়েন্ট বিডিও। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। কী কারণে আত্মহত্যা? তদন্তে নেমেছে জয়নগর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন: Independence Day 2022: নদীর নামেই পরিচয়, স্বাধীনতার ৭৫ পূর্তিতে নতুন স্টেশন পেল ক্যানিংবাসী
গত বছরের শেষের দিকে প্রশাসনিক দায়িত্ব ছেড়ে স্কুল শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মালদহের বামুনগোলা জয়েন্ট বিডিও আশিস নায়েক। তাঁর ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। স্কুলের চাকরি ছেড়ে সরকারি আধিকারিক হন অনেকেই। কেন উলটো পথে হাঁটলেন? জয়েন্ট বিডিও বলেছিলেন, 'ব্যক্তিগত কারণে পদত্য়াগ করেছি। বিতর্কে কিছু নেই'।
এদিকে কয়েক দিন আগে হাওড়ার ডোমজুড়ে এক ব্যক্তিকে বিডিও অফিসে ডেকে এনে বেধরক মারধর করেছিলেন মহিলারা! কেন? অভিযোগ, নিজেকে বিডিও অফিসের কর্মী হিসেবে পরিচিত দিতেন রাজেশ চট্টোপাধ্যা নামে ওই ব্যক্তি। এমনকী, খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে মহিলাদেরও কাছ থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। কেউ ৩০ হাজার, তো কেউ আবার ৩৫ হাজার। চাকরি পাওয়ার আশায় রাজেশকে টাকা দিয়েছিলেন ১০ জন, কিন্তু চাকরি পাননি কেউই!