করোনা উপসর্গ নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইল দেহ
প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব পরিবার ও স্থানীয়রা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতেই পড়ে রইল দেহ। আতঙ্কে, দেহ উদ্ধারে এগিয়ে এল না পরিবার। অভিযোগ, প্রথমে মেলেনি প্রশাসনেরও সাহায্য়। পরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখালে তৎপর হয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের আকালের মধ্যেই রাজ্যে এল সাড়ে তিন লাখ Covishield ডোজ
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বিহারের কিশনগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টে তিনি কাজ করতেন। সেখাতেই তিনদিন আগে জ্বর আসে। প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধ খেয়েও জ্বর না কমায় পরিবারের লোকজন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর শনিবার রাত ১১টা নাগাদ তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রবিবার ভোরে তিনি মারা যান। যেহেতু জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ওই ব্য়ক্তির মৃত্যু হয়, তাতেই পরিবারের মধ্যে করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীও। মৃতদেহ সৎকারের জন্য় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ময়নাগুড়ি থানায় যোগাযোগ করা হলে, যেহেতু মৃত ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট নেই, তাই পুলিশ আসতে দেরি করে।
আরও পড়ুন: টিকা দেওয়া নিয়ে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চরম বিশৃঙ্খলা, শিকেয় করোনাবিধি
জানা গিয়েছে, এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা ময়নাগুড়ি-ধূপগুড়ি জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ তুলে দেয় এবং ময়নাগুড়ি থানার তরফে একটি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, যেহেতু মৃত্য়ুর কোনও কোনও কারণ জানা যায়নি, তাই মৃতদেহ সৎকারের দায়িত্ব পারিবারের।