'ক্লথ সেন্টার'এর আড়ালেই চলত কারবার, এবার ঘোলায় অস্ত্র কারখানার হদিশ
একতলায় একটি ছোট্ট জামাকাপড়ের দোকান, আরেক পাশে একটি ঘরের দরজা তালা বন্ধ। সেই দরজা খুলতেই বেরিয়ে পড়ল আসল রহস্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বসতবাড়ি, বাড়ির একতলায় একটি ছোট্ট জামাকাপড়ের দোকান, আরেক পাশে একটি ঘরের দরজা তালা বন্ধ। সেই দরজা খুলতেই বেরিয়ে পড়ল আসল রহস্য। জগদ্দলের পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা। এবার বাড়ির মধ্যে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে ৯০ টিরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র। বাড়ির মালিক সহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ফিরে লুকিয়ে টিফিন খাচ্ছিল দুই বোন, লাঞ্চ বক্সের দিকে তাকাতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল মায়ের
ঘোলা বাজার এলাকায় বস্ত্র ব্যবসায়ী হিসাবেই পরিচিত কালাচাঁদ পাল। নিজের বাড়িতে ছোটো একটি জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে। এছাড়া দোকানেই পাইকারি হিসাবে কাপড় দেন তিনি। তাঁরই বাড়ির একতলায় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিস।
জানা গিয়েছে, কালাচাঁদ কয়েক মাস আগে পাপ্পু খান নামে এক যুবককে বাড়ি ভাড়া দেন। এই পাপ্পু খানই অস্ত্রের কারবারি বলে তদন্তকারীদের কাছে খবর ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বুধবার সকালে কালাচাঁদের বাড়ির একতলায় তল্লাশি চালায় এসটিএফ।
একতলার ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকতেই চোখে পড়ে দেওয়াল ভেঙে বসানো হয়েছে লেদ মেশিন। রয়েছে অস্ত্র তৈরির নানান সরঞ্জাম। অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্রও রাখা রয়েছে ওই ঘরে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত পাপ্পু খান ফেরার। তদন্তকারীরা ওই বাড়ির মালিক সহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
আরও পড়ুন:পাশের বাড়ির উঠোনে খেলছিল ভাইবোন, মা গিয়ে যা দেখলেন তাতে ছ্যাঁক করে উঠল তাঁর বুক!
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জগদ্দলে অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় এসটিএফ। লাড্ডু কারখানার আড়ালেই রমরমিয়ে চলত আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি। জাল নোটের কারবারীকে ধরতে গিয়ে এই অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পান তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় ৬জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃত ছ’জনের কেউ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নন বলে তদন্তে জানা যায়। ধৃতদের একজন নভি মুম্বইয়ের এবং বাকি পাঁচ জন বিহারের মুঙ্গের এবং বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর জন্যই এই কারিগরদের জগদ্দলে ধরে আনা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘোলার হদিশ পান তদন্তকারীরা।