দুর্গাপুরের আবাসনে তরুণীর ট্রলিবন্দি নগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়
বাঁকুড়ার তরুণী শিল্পা আগরওয়ালের ট্রলিবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। তদন্তে এবার উঠে এল নয়া তথ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঁকুড়ার তরুণী শিল্পা আগরওয়ালের ট্রলিবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। তদন্তে এবার উঠে এল নয়া তথ্য। জানা যাচ্ছে, গ্রেফতার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রাজীব কুমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। শুক্রবার, অর্থাত্ যেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শিল্পা, সেদিন সন্ধ্যায় রাজীবের সঙ্গে তাঁর ফ্ল্যাটে যান তিনি। যদিও আবাসনের দুই গেটের রেজিস্ট্রারে শিল্পার নাম নেই। ইদানীং রাজীবকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শিল্পা। সম্ভবত, সেই কারণেই তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়।
আরও পড়ুন: বাল্য প্রেমের পরিণতি হল রক্তাক্ত, বারাসতে নির্মম ঘটনা
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়াতেই শিল্পাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন রাজীব। যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে, সেদিন বাড়িতে ছিলেন না তাঁর স্ত্রী মণীশা। ফিরে এসে তাঁরা দুজনে দেহ লোপাটের ছক কষেন। প্রথমে দেহ একটি ট্রলি ব্যাগে ঢোকানো হয়। পরে সেটিকে স্টোররুমের সামনে আনা হয়। কিন্তু সিসিটিভি থাকায়, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সে কাজ করতে পারেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: কেবল ধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাট কিংবা বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক নয়, ব্যাঙ্ককর্মী শিল্পা খুনে অন্য কারণ
স্টোররুমের সামনেই ব্যাগটি রেখে দেন তাঁরা। পরে গন্ধ বেরোতে থাকায় খবর দেন পুলিসে। যদিও ধৃতরা পুলিস জেরায় দাবি করছেন, আত্মহত্যা করেছেন শিল্পা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ট্রলি থেকে শিল্পার নগ্ন দেহ কেন বেরোল? তবে কি পরিবারের অভিযোগ মতো, খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল শিল্পাকে? নাকি স্বেচ্ছায় রাজীবের সঙ্গে শারীরিক সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি? মনীষা কি রাজীব-শিল্পার এই সম্পর্কের কথা আগে থেকেই জানতেন? আপাতত এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার কথা ভাবছেন তাঁরা।